ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সাংবাদিক আনিস আলমগীর পাঁচ দিনের রিমান্ডে

সাংবাদিক আনিস আলমগীর পাঁচ দিনের রিমান্ডে

রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার সাংবাদিক আনিস আলমগীরের পাঁচ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ রিমান্ড দেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান তার সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। এর আগে গত রোববার রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনিস আলমগীরকে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়। তিনি নিজেই বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করে গত রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মোবাইল ফোনে জানান, তিনি ডিবি কার্যালয়ে অবস্থান করছেন। আনিস আলমগীর জানান, গত রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ধানমন্ডি এলাকার একটি জিম থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত ৮টার দিকে তিনি ডিবি কার্যালয়ে পৌঁছান। সেখানে তাকে জানানো হয়, ডিবিপ্রধান তার সঙ্গে কথা বলবেন।

এ বিষয়ে গতকাল সোমবার বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে ডিএমপির ডিবি প্রধান মো. শফিকুল ইসলাম জানান, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। এ মামলায় আনিস আলমগীরসহ মোট পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।

আনিস আলমগীর, শাওনসহ চারজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ : সাংবাদিক আনিস আলমগীর, অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ চারজনের বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নষ্টের ষড়যন্ত্র এবং নিষিদ্ধ সংগঠনকে উসকে দেওয়ার’ অভিযোগ করা হয়েছে থানায়। ‘জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স’ নামে একটি সংগঠনের আরিয়ান আহমেদ গত রোববার রাতে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় এ অভিযোগ দেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার শাহরিয়ার আলী বলেন, “এখনো মামলা হয়নি, আমরা অভিযোগটি যাচাই-বাছাই করে দেখছি।” গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল গত রোববার রাত ৮টার পর সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়।

রাতেই উত্তরা পশ্চিম থানায় চারজনের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ করা হয় বলে একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান। তিনি বলেন, ‘আনিস আলমগীর, মেহের আফরোজ শাওন, মারিয়া কিসপট্টা (ফ্যাশন মডেল) ও ইমতু রাতিশ ইমতিয়াজের (উপস্থাপক) নামে অভিযোগ করা হয়েছে। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এটি নিয়ে কাজ করছেন।’

উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি কাজী মোহাম্মদ রফিক আহমেদ বলেন, ‘বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের পক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিভিন্ন মিডিয়ায় টকশোতে বিভিন্ন ধরনের প্রচার-প্রচারণা চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে সেখানে। বিষয়টি সাইবার সংক্রান্ত।’

অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই মাসের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের মধ্যেও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুসারীরা বিভিন্ন কৌশলে দেশে অবস্থান করে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা বিনষ্টের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। অভিযুক্তরা এসব কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত।

‘গত ৫ অগাস্টের পর থেকে অভিযুক্তরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন টেলিভিশন টক শোতে অংশ নিয়ে নিষিদ্ধ সংগঠনকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রচারণা চালাচ্ছেন। এর মাধ্যমে তারা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের অপচেষ্টা করছেন।’

অভিযোগকারী বলছেন, ‘অভিযুক্তদের এসব বক্তব্য ও অনলাইন কার্যক্রমের কারণে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা উসকানি পাচ্ছে। ফলস্বরূপ তারা রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র, সহিংসতা এবং অবকাঠামো ধ্বংসের মত কর্মকাণ্ডে জড়িত হচ্ছে।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত