
সিরাজগঞ্জে এবার মৌসুমি সরিষা চাষাবাদে বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে। এরইমধ্যে মাঠে মাঠে হলুদের সমারোহ সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ৮৭ হাজার ১২৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষকেরা এ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে এ চাষাবাদ করেছে। এ সরিষা চাষাবাদ বেশি হয়েছে সিরাজগঞ্জে চলনবিল এলাকার তাড়াশ, রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এবং কামারখন্দ, কাজিপুর, বেলকুচি ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ সরিষা চাষাবাদ করা হয়েছে। এ মৌসুমি সরিষা চাষাবাদের মধ্যে রয়েছে, টরি-৭, বারি-১৪, বীনা-৯, বীনা-১৪ চাষাবাদ করা হয়েছে বেশি। তবে চরাঞ্চলে ইউরিক অ্যাসিড মুক্ত ক্যলানীয়া জাতের সরিষা চাষ করা হয়। এ সরিষা চাষাবাদে মাঠে মাঠে হলদের সমারোহ সৃষ্টি হয়েছে। শস্যভান্ডারখ্যাত তাড়াশ, রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়াসহ চরাঞ্চলে এ দৃশ্য বেশি। যেদিকে দু চোখ যায় সেদিকেই দৃষ্টি কাড়ে হলুদের সমারোহ। স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, এবার সরিষা চাষাবাদে প্রণোদনা হিসেবে নির্ধারিত হারে বীজ ও সার প্রদান করেছে সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগ। এ চাষাবাদে কৃষি কর্মকর্তারা নানা পরামর্শও দিয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সরিষা চাষে বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে। এরইমধ্যে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মধু সংগ্রহকারীরা মাঠে মাঠে মৌমাছির বক্স স্থাপন করেছে এবং শুরু হয়েছে সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহ। গত বছরের চেয়ে জেলায় এবার বেশি মধু সংগ্রহ হতে পারে বলে তারা দাবি করেছেন। এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক একেএম মঞ্জুরে মওলা বলেন, এ জেলায় গত বছরের চেয়ে এবার কিছু বেশি জমিতে সরিষা চাষাবাদ করেছে কৃষকেরা। এ চাষাবাদে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্য সার বীজ দেওয়া হয়েছে এবং এ চাষাবাদে সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগ কৃষকদের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।