রিকশাচালকদের প্রশিক্ষণ প্রদানের ফলে তাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদানের আইনগত ভিত্তি তৈরি হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। তিনি বলেন, প্রশিক্ষণের আওতায় পর্যায়ক্রমে দুই লক্ষ্য রিকশাচালককে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। পরবর্তীতে প্রতিটি অঞ্চলের জন্য ভিন্ন রঙের রিকশা অনুমোদন দেওয়া হবে। তখন একটি অঞ্চলের রিকশা আর অন্য অঞ্চলে চালানো যাবে না। গতকাল মঙ্গলবার মহাখালীতে ই-রিকশা চালকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন। প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রশাসক বলেন, ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলে শৃঙ্খলা আনার লক্ষ্যে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন একযোগে ই-রিকশা চালকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করছে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমরা ই-রিকশাচালকদের একটি আইনি কাঠামোর আওতায় আনতে চাই। ডিএনসিসির এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে গতকাল থেকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় ই-রিকশা চালকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে রাজধানীর পাঁচটি ভেন্যুতে একযোগে এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। মহাখালীর ডিএনসিসি জোনাল অফিসে দুটি, মোহাম্মদপুর সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে একটি, মিরপুর ১০ এবং উত্তরায় একটি করে ভেন্যুতে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। প্রথম দিনে প্রায় ৬০০ ই-রিকশা চালক এই প্রশিক্ষণে অংশ নেন। এরমধ্যে মহাখালীতেই প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন ২৩৭ জন চালক। আজ থেকে এসব ভেন্যুতে নিয়মিত প্রশিক্ষণ চলবে। মহাখালী ভেন্যু পরিদর্শনকালে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ প্রশিক্ষণার্থী চালকদের উদ্দেশ্যে বলেন, এ প্রশিক্ষণের ফলে দুর্ঘটনা কমবে এবং চালকরা আইন মানায় উৎসাহী হবেন। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে শহরে যেসব, ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাটারিচালিত রিকশা চলছে, সেগুলো ধাপে ধাপে ফেজ আউট করে বুয়েটের ডিজাইন অনুযায়ী মডেলের রিকশা নামানো হবে। প্রশিক্ষণের আওতায় পর্যায়ক্রমে দুই লক্ষ্য রিকশাচালককে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। পরবর্তীতে প্রতিটি অঞ্চলের জন্য ভিন্ন রঙের রিকশা অনুমোদন দেওয়া হবে। তখন একটি অঞ্চলের রিকশা আর অন্য অঞ্চলে চালানো যাবে না। প্রশিক্ষণে ই-রিকশা চালকদের ট্রাফিক আইন, সড়ক নিরাপত্তা, দুর্ঘটনার কারণ, সাইন ও সংকেত, রিকশা চালনার কৌশল এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হচ্ছে। এই সেশনে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগও সহযোগিতা করছে। বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের নকশা অনুযায়ী ব্যাটারিচালিত ই-রিকশাগুলোর সর্বোচ্চ গতি নির্ধারণ করা হয়েছে ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার। তবে নির্দিষ্ট এলাকায় এই গতিসীমা ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার হবে। স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রণীত ‘বৈদ্যুতিক থ্রি হুইলার ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০২৫ (খসড়া)’ অনুসারে, এই রিকশাগুলো শুধু পাড়া-মহল্লা ও গলিপথে চালানো যাবে, প্রধান সড়কে নয়।