ঢাকা শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

নারায়ণগঞ্জে স্কুল ভবন ধসের গুজব

নারায়ণগঞ্জে স্কুল ভবন ধসের গুজব

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বক্তাবলী কানাইনগর সোবহানিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবন ধসে পড়েছে- এমন একটি ভিডিও গত শুক্রবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। তবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা ও গুজব। গত শুক্রবার রাতে কিছু গণমাধ্যমের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ভিডিওটি প্রকাশিত হয়। ভিডিওতে দাবি করা হয়, স্কুল ভবনের চারতলায় ফাটল ধরেছে এবং ভবনটি ধসে পড়ছে। ভিডিওটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে নেটিজেনদের মধ্যে ভয় ও বিভ্রান্তি তৈরি হয়। তবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভাষ্য অনুযায়ী, ভবনে কোনো ফাটল ধরেনি বা ধসেও পড়েনি। আসলে বিদ্যুতের মিটারে শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগে, যা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। পরে মিটার পরিবর্তন করা হয়।

গতকাল শনিবার দুপুরে সোবহানিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ২৪ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণীর প্রস্তুতি চলছিল। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভবনের নিচ তলায় প্রধান ফটকের বাইরে বিদ্যুতের মিটারে শর্টসার্কিট থেকে আগুন ধরে যায়। হঠাৎ শব্দ ও ধোঁয়া বের হলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে মাঠে চলে যায়।

তিনি আরও বলেন, প্রায় চার মিনিটের মধ্যে বিদ্যালয়ের বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে পল্লী বিদ্যুতের কর্মীরা এসে দ্রুত নতুন মিটার স্থাপন করেন। ভবনের কোনো ক্ষতি হয়নি। পরে শিক্ষার্থীদের একটি ক্লাস করিয়ে সবাইকে নিয়ে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করি। গুজব ছড়ানোর বিষয়ে প্রধান শিক্ষক বলেন, আগুনে কেবল মিটারটি পুড়েছে। ভবনে কোনো ফাটল বা ধসের ঘটনা ঘটেনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

নারায়ণগঞ্জ জেলার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার মো. আতিকুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত ২৪ সেপ্টেম্বর কানাইনগর সোবহানিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজে একটি বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ছিল। আমি ওই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করি। আমি যাওয়ার আগে ওই স্কুলের বৈদ্যুতিক মিটারে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। তবে আমি যাওয়ার পরে সবকিছুই স্বাভাবিক পেয়েছি।

ভবন ধসের বিষয়ে তিনি বলেন, এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। আমি ওই দিন সারা দিন ওই বিদ্যালয়ে ছিলাম। এদিকে স্থানীয় প্রশাসন ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গুজব ছড়ানো ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে কাজ করছে এবং সাধারণ মানুষকে এমন মিথ্যা তথ্য প্রচার না করার অনুরোধ জানিয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত