ঢাকা শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

দুই পক্ষের উত্তেজনা, আজিজ সুপার মার্কেটের ফটকে তালা

দুই পক্ষের উত্তেজনা, আজিজ সুপার মার্কেটের ফটকে তালা

রাজধানীর শাহবাগ-সংলগ্ন আজিজ সুপার মার্কেটের দোকান মালিক সমিতির কমিটি গঠন নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। এর জেরে গতকাল শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় দোকান মালিক সমিতির বর্তমান কমিটির নেতারা মার্কেটের সব কটি ফটকে তালা লাগিয়ে দেন। এ কারণে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মার্কেটের সাধারণ ব্যবসায়ীরা। তাদের বড় একটি অংশ দোকান বন্ধ করে চলে যান। খবর পেয়ে শাহবাগ থানার পুলিশ এসে ঘণ্টাখানেক পর ফটকগুলো খুলে দেয়। তবে এরপরও মার্কেটে স্বাভাবিক অবস্থা ফেরেনি। বিকেল সোয়া চারটার দিকে আজিজ সুপার মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, মার্কেটের ভেতরে তেমন লোকজন নেই। দোতলার বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ। দোকান মালিক সমিতির কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্বের বিষয়ে অবগত আজিজ সুপার মার্কেটের একটি বইয়ের দোকানের একজন কর্মচারী বলেন, গত বুধবার রাতে বর্তমান কমিটির নেতাদের সঙ্গে অপর পক্ষের কথা-কাটাকাটি হয়। দুর্গাপূজার দিন গত বৃহস্পতিবার মার্কেট বন্ধ ছিল।

গতকাল শুক্রবার সকালে যথারীতি মার্কেট খোলে। গত বুধবার রাতের ওই দ্বন্দ্বের জেরে জুমার নামাজের পর বেলা দুইটার দিকে হঠাৎ মার্কেটে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বর্তমান কমিটির নেতারা ভেতর থেকে ফটকগুলোয় তালা লাগিয়ে দেন। এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন দোকানি বলেন, পাঁচ দিন ধরে দোকান মালিক সমিতির কমিটি নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব চলছিল। দ্বন্দ্বের কারণে মার্কেট বন্ধ। মার্কেট খুললেও দুপুরের পর আবার উত্তেজনা দেখা দেয়। এতে ভয়ে সব দোকান বন্ধ করে ব্যবসায়ীরা বাসায় চলে যান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহবাগ থানা বিএনপির আহ্বায়ক জাকির হোসেন (মিন্টু) বলেন, ‘বিভিন্ন মাধ্যমে খবর পাই আজিজ মার্কেটে কমিটি গঠন নিয়ে ভাঙচুর হয়েছে। তবে সেখানে আমাদের দলের কোনো নেতাকর্মী জড়িত নয়।’ শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর খালিদ বলেছেন, আজিজ সুপার মার্কেটে দোকান মালিক সমিতির কমিটি গঠন নিয়ে দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। একটি পক্ষ কমিটি গঠন করতে চায়। আরেকটি পক্ষ নতুন কমিটি গঠন করার বিপক্ষে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয় এবং দুপুরে একটি পক্ষ মার্কেটে ঢোকার কলাপসিবল গেটগুলো বন্ধ করে দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ মার্কেটে গিয়ে দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে এবং মার্কেটে ঢোকার ফটকগুলো খুলে দেয়। এরপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত