ঢাকা শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

চট্টগ্রামে মাছ-মাংসের দামে ঊর্ধ্বগতি

* সরবরাহ কম থাকায় শীতকালীন সবজির বাজার চড়া। এদিকে আগের সপ্তাহের মতো সবজির দাম স্থিতিশীল থাকলেও এখনও ঊর্ধ্বগতি মাছ-মাংসের দাম
চট্টগ্রামে মাছ-মাংসের দামে ঊর্ধ্বগতি

বন্দর নগরী চট্টগ্রামের বাজারগুলোতে ধীরে ধীরে শীতকালীন সবজিতে সয়লাব হতে শুরু করেছে। যদিওবা এখনও পুরোপুরিভাবে শীতকালীন সব সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। সরবরাহ কম থাকায় শীতকালীন সবজির বাজার চড়া।

এদিকে আগের সপ্তাহের মতো সবজির দাম স্থিতিশীল থাকলেও এখনও ঊর্ধ্বগতি মাছ-মাংসের দাম। সরবরাহ বাড়ায় কমেছে দেশি পেঁয়াজের দাম। প্রতি কেজিতে অন্তত ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। গতকাল শুক্রবার সকালে নগরের চকবাজার, কাজীর দেউড়ি ও বহদ্দারহাট কাঁচা বাজারে গিয়ে এসব তথ্য পাওয়া যায়। বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গত সপ্তাহে যা ৬০ টাকার ওপরে ছিল। ব্যবসায়ীরা বলেছেন, দুই সপ্তাহ ধরে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। সরবরাহ বাড়ায় দামও কমেছে।সামনে দাম আরও কমতে পারে।

সবজির বাজারে বেগুন, কাঁকরোল, শিমসহ কয়েক পদের সবজির দাম কমেছে। বেগুন ১০০ থেকে ১২০ টাকা ছিল গত সপ্তাহে। এ সপ্তাহে ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁকরোল, পটল ১০০ টাকা থেকে কমে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঝিঙ্গা ১০০ টাকা থেকে ৬০-৭০ টাকা, বরবটি ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচের দাম গত সাপ্তাহের মতোই ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। বাজারে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে ভ্যান গাড়িতে করে ৫ কেজি আলু এক সঙ্গে ১০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। বাজারে মিষ্টিকুমড়া ৩০ থেকে ৩৫ টাকা ও টমেটো ১৬০ টাকা থেকে কমে কেজিপ্রতি ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শিম ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় এবং কচুরমুখী, লাউ, মূলা কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। গাজর ১৬০ টাকা, হাইব্রিড শসা ৬০ টাকা, কাঁচা কলার হালি ৪০ টাকা, শালগম ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি ও বাঁধাকপি ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ধনেপাতা প্রতিকেজি ১৫০ টাকা আর শাকের মধ্যে কচুশাক ৪০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া শাক ৫০ টাকা, পুঁইশাক ৪০ টাকা ও লালশাক ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সোনালী মুরগির দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে প্রায় ৫০ টাকা বেড়ে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা থেকে ১৭৫ টাকা দরে। পাকিস্তানি কক ৩৪০ থেকে ৩৫০ টাকা, দেশি মোরগ ৬৫০ টাকা এবং জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়।

অন্যান্য মাংসের মধ্যে গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৯৫০ টাকা, খাসি ও পাঁঠা ছাগলের মাংস ১২০০ থেকে ১২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের মুরগির ডিমের দাম ডজন ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ১৮০ টাকা ও হাঁসের ডিম ২৩০ টাকা ডজনে বিক্রি হচ্ছে। মাছের বাজারে প্রতিকেজি রূপচাঁন্দা ৩৫০ থেকে ৭০০ টাকা, আইড় ৪০০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লইট্যা ও ফাইস্যা ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, পোয়া ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, শাপলা পাতা মাছ ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, কোরাল ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, চিংড়ি (বাগদা ও গলদা) আকারভেদে ৬৫০ থেকে ১২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

ছোট চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৭০০ থেকে ১২০০ টাকা দরে। রুই ও কাতলা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা ছোট আকারের ৪০০ টাকা, মাঝারি সাইজের ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, শিং ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, পুঁটি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, সরপুঁটি ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, নাইলোটিকা ২২০ থেকে ২৮০ টাকা, কৈ ২০০ থেকে ২২০ টাকা এবং পাঙ্গাস, সিলভার কার্প মিলছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত