ঢাকা শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

শহিদ মিনারে আহমদ রফিককে সর্বস্তরের মানুষের শেষ শ্রদ্ধা

শহিদ মিনারে আহমদ রফিককে সর্বস্তরের মানুষের শেষ শ্রদ্ধা

ভাষাসংগ্রামী, প্রাবন্ধিক ও রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য আহমদ রফিকের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তার ইচ্ছা অনুযায়ী লাশ বারডেম হাসপাতালে (ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ) দান করা হবে বলে জানিয়েছে তার নামে গড়া আহমদ রফিক ফাউন্ডেশন। গতকাল শনিবার সকাল ১১টার দিকে তার লাশ শহিদ মিনারে নেওয়া হলে সর্বস্তরের মানুষ, সংগঠন ও শুভানুধ্যায়ীরা আসেন তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। আহমদ রফিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শোকযাত্রার মাধ্যমে তার লাশ নিয়ে যাওয়া হবে ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ ও গবেষণার জন্য তিনি মরণোত্তর দেহ দান করে গেছেন। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ভাষাসংগ্রামী আহমদ রফিক। তার বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। তিনি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ক্রনিক কিডনি ফেইলিওর, আলঝেইমার্স রোগ, পারকিনসন্স রোগ, ইলেকট্রোলাইটস ইমব্যালেন্স, বেডশোর, ফুসফুসের সংক্রমণে ভুগছিলেন।

ভাষা আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী আহমদ রফিকের জন্ম ১৯২৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শাহবাজপুর গ্রামে। মুন্সিগঞ্জের হরগঙ্গা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। এরপর রসায়নে পড়তে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু ফজলুল হক হলের আবাসিক সুবিধা না পাওয়ায় পরে ভর্তি হন ঢাকা মেডিকেল কলেজে। ১৯৫২ সালে তৃতীয়বর্ষে পড়ার সময় ফজলুল হক হল, ঢাকা হল এবং মিটফোর্ডের ছাত্রদের সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করে চলার কাজ করেছেন তিনি। পাশাপাশি সভা-সমাবেশ মিছিলে ছিলেন নিয়মিত। ১৯৫৪ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের আন্দোলনকারী ছাত্রদের মাঝে একমাত্র তার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। ১৯৫৫ সালের শেষ দিকে প্রকাশ্যে বেরিয়ে এসে পড়াশোনায় ফেরেন আহমদ রফিক। এমবিবিএস ডিগ্রি নিলেও চিকিৎসকের পেশায় যাননি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত