ঢাকা শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

আজকের শিশুরাই আগামী দিনে দেশ পরিচালনার নেতৃত্ব দেবে

বললেন শারমীন এস মুরশিদ
আজকের শিশুরাই আগামী দিনে দেশ পরিচালনার নেতৃত্ব দেবে

সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, আজকের শিশুরাই আগামী দিনে দেশ পরিচালনার নেতৃত্ব দেবে। তিনি শিশুদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘তোমাদের মতো আমারও একটা স্বপ্ন আছে, একদিন এই দেশটি শিশুদের জন্য হবে।’ উপদেষ্টা গতকাল রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব শিশু দিবস-২০২৫ ও শিশু অধিকার সপ্তাহের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মৎস্য প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ও ইউনিসেফ প্রতিনিধি রুনা ফ্লাওয়ার্স। এছাড়াও সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, শিশু বক্তা রূপ সঞ্চারী চর্চা এবং মো. সামিউল ইসলাম। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক (যুগ্ম সচিব) দিলারা বেগম।

শারমীন এস মুরশিদ বলেন, বিশ্ব শিশু দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘শিশুর কথা শুনব আজ, শিশুর জন্য করব কাজ’। এই স্লোগানে এমন একটি দেশ আমরা গড়বো বিশ্বের সবাই তাকিয়ে বলবে এই দেশটি শিশুদের জন্য। তিনি বলেন, একটি সুন্দর দেশ গড়ার জন্য আজকে আমরা যে সংগ্রাম করছি এবং তোমরা যারা গত বছর যে জুলাই-গণঅভ্যুত্থানে অকপটে অংশগ্রহণ করে বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা পালন করেছ বীরত্বগাথা তৈরি করেছ, তাতে প্রমাণ হয়ে যায় তোমরাই দেশের দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছ। তিনি বলেন, এত যুগ ধরে যারা দেশ শাসন করে এসেছিল, অন্যায়, দুর্নীতি যারা করেছে, এই অপশক্তির বিরুদ্ধে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছ। লড়াই করে তোমরা দেশটাকে পরিবর্তন করে দিয়েছ। সত্যিকথা বলতে জুলাই আন্দোলন না হলে আমরা বুঝতেই পারতাম না আমাদের কোমলমতি ছোট শিশুরা আমাদের সোনার দেশটাকে এত ভালোবাসে, দেশের জন্য এতটা মায়া, দেশের জন্য এতটা ভাবে।

তিনি বলেন, আমাদের এই জেনারেশনের শিশু-কিশোররা এক একটা অকুতোভয় বীরসৈনিক। যারা কোনো অন্যায়ের আপস না করে মাথা উঁচু করে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তে জানে বাঁচতে জানে।

উপদেষ্টা বলেন, বিশ্ব শিশু দিবস এবং শিশু অধিকার সপ্তাহ-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে আমরা একত্রিত হয়েছি বিশেষ একটি উদ্দেশ্যে আর তা হলো শিশুদের মুখে হাসি, তাদের স্বপ্নের অনুপ্রেরণা, জীবনের মর্যাদা ও নিরাপত্তাই এ দিবসে মূল বিষয়। উপদেষ্টা আরও বলেন, বর্তমান সরকার শিশুদের খুবই স্নেহ করেন এবং গভীরভাবে ভালোবাসে। সব শিশুর জন্য নানারকম উন্নয়নমুখী কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। শিশুভিত্তিক বিচার ব্যবস্থার জন্য আলাদা বিশেষ ‘শিশু আদালত’ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি আইন ও বিচার ব্যবস্থাকে শিশুর জন্য পুনর্বাসনমুখী করেছে, শাস্তির দৃষ্টিকোণ থেকে প্রগতিশীল ম্যাসেজ দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ইউনিসেফ ও ইইউর সহায়তায়, সামাজিক কল্যাণ খাতে ১২শ’ অতিরিক্ত সমাজকর্মী বা শিশু সুরক্ষা ও হেল্পলাইন কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে, যাদের কাজ- শিশু সুরক্ষা, জরুরি সেবা এবং পরিবারের সহায়তা নিশ্চিত করা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত