ঢাকা রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

টাইফয়েড টিকা শতভাগ নিশ্চিতের নির্দেশনা

টাইফয়েড টিকা শতভাগ নিশ্চিতের নির্দেশনা

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম টাইফয়েড টিকা প্রদান ও প্রাপ্তি শতভাগ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেন, দেরিতে হলেও আমরা টাইফয়েডের টিকাদান শুরু করেছি। আশা করি আমরা সফল হবো।

গতকাল মঙ্গলবার শাহবাগে শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে ‘টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন- ২০২৫’ এর জাতীয় অ্যাডভোকেসি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। বাংলাদেশে টাইফয়েডে শিশু মারা যাওয়া কাঙ্ক্ষিত নয় উল্লেখ করে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, ডায়রিয়া ও রাতকানা রোগসহ অনেক রোগ আমরা প্রতিরোধ করেছি। অথচ টাইফয়েডে এখনও দেশের শিশু মারা যায়, তাদের অঙ্গহানি হয়।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, টাইফয়েড জ্বর থেকে শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে ১২ অক্টোবর থেকে সারাদেশে এই টিকাদান শুরু হবে। ৫ কোটি শিশুকে এই টিকা দেওয়ার টার্গেট। ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সি যে কোনো শিশু এই টিকা দিতে পারবে। প্রচার প্রচারণার ওপর গুরুত্বারোপ করে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূর জাহান বেগম বলেন, আমার ঘরে আমি এটির কোনো লক্ষণ পাইনি। নাতি নাতনি আছে, কাজের লোকেরও বাচ্চা আছে। কেউ বলল না। তার মানে আমরা সব ঘরে পৌঁছাতে পারিনি।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, আমাদের নৈতিক দায়িত্ব একটি শিশুও যাতে বাদ না যায়। জন্ম সনদ থাকুক বা না থাকুক, সবাইকে সুযোগ দিতে হবে। প্রচার প্রচারণা আরও বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু হলো। আশা করি, আমরা আমাদের সন্তানদের রক্ষা করতে পারবো। ইপিআই এর সাফল্য আছে টিকা দানে, এতেও সাফল্য আসবে ইনশাআল্লাহ। নূরজাহান বেগম বলেন, আমাদের লক্ষ্য থাকবে শতভাগ শিশুকে টিকাদান নিশ্চিত করা। মানুষের মধ্যে যাতে ভুল ধারণা সৃষ্টি না হয়, সেজন্য আমাদেরকে মানুষকে বুঝাতে হবে। তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃত্বের পাশাপাশি গণমাধ্যমের ভূমিকা আছে। সভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্য খাতে আমাদের সবচেয়ে সফল কর্মসূচি হলো টিকাদান কর্মসূচি। টাইফয়েডও হয়তো রেগুলার টিকাদান কর্মসূচিতে ঢুকবে। আমরা টিকাদানে সক্ষম জনশক্তি বাড়াতে চাই। এজন্য মেডিকেল কলেজ ও নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থী ও ইন্টার্নদের সংযুক্ত করা যেতে পারে।

স্বাস্থ্য সচিব মো. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে আরও আলোচনা করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনস্বাস্থ্য অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব এটিএম সাইফুল ইসলাম, এনজিও ব্যুরোর মহাপরিচালক দাউদ মিয়া, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, ইউনিসেফ-এর দীপিকা শর্মা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র ডেপুটি রিপ্রেজেনটেটিভ রাজেশ নরওয়ানসহ বিদেশি প্রতিনিধি। দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের টিকাদান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও এতে অংশগ্রহণ করেন।

টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইনের এই পুরো প্রক্রিয়াতে সহযোগিতা করছেন গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (গাভি) ও ইউনিসেফ। এরইমধ্যে প্রায় দুই কোটি নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। টিকাদানের সময় নিবন্ধন ছাড়া কোনো শিশু আসলেও টিকা পাবে। তবে, নিবন্ধন করাকে উৎসাহিত করছে কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত