
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, মসজিদ মুসলিম সমাজের হৃৎপিণ্ড। এটিকে সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালাকে সময়োপযোগী করা হচ্ছে। এ মাসেই মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালার গেজেট হবে। গতকাল বুধবার সকালে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সভাকক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আয়োজনে মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০২৫ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, সব অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে গ্রহণযোগ্য মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। এ লক্ষ্যে গঠিত কমিটি একটি খসড়া নীতিমালা প্রস্তুত করেছে। দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমণ্ডওলামাদের মতামতের ভিত্তিতে এটিকে চূড়ান্ত করা হবে। এ নীতিমালায় ইমামণ্ডমুয়াজ্জিনদের সর্বোত্তম স্বার্থ সুরক্ষিত হবে। এর আগে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব শেখ মুর্শিদুল ইসলাম কর্মশালায় মসজিদ ব্যবস্থাপনা (সংশোধিত) নীতিমালা ২০২৫ এর খসড়া উপস্থাপন করেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আ. ছালাম খানের সভাপতিত্বে এ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ধর্ম বিষয়ক সচিব মো. কামাল উদ্দিন। অন্যান্যের মধ্যে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব আল্লামা মুফতি মুহাম্মদ আবদুল মালেক, তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর মাওলানা মোহাম্মদ খলিলুর রহমান মাদানী, শানে সাহাবা জাতীয় খতিব ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুফতি শামীম মজুমদার, বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা কাজী আবু হুরায়রা ও মহাসচিব মাওলানা শাহ নজরুল ইসলাম, মুফতি রেজাউল করিম আবরার ও মুফতি কাসেম শরীফ বক্তৃতা করেন। বক্তারা মজজিদ নীতিমালা যুগোপযোগী করার বিষয়ে তাদের সুচিন্তিত মতামত তুলে ধরেন। এ কর্মশালায় দেশের অর্ধশতাধিক শীর্ষস্থানীয় আলেমণ্ডওলামা অংশগ্রহণ করেন।