
অনলাইন পর্নোগ্রাফি সংক্রান্ত গ্রুপ, এডমিন ও অর্থ লেনদেনকারী প্রতারকচক্রকে শনাক্ত করে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। এ সংক্রান্ত বিষয় তদন্তকালে উদ্ঘাটিত তথ্য ও ঘটনার আলোকে নিয়মিত মামলা দায়েরের নির্দেশ প্রদান করেন আদালত। গতকাল ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটর ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন। আদালত আদেশে বলেন, গত শনিবার একটি গণমাধ্যমে ‘টেলিগ্রামে হাজারো তরুণীর নগ্ন ভিডিও বিক্রি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ঐ সংবাদ কয়েকটি পত্রিকার অনলাইন ওয়েবসাইটেও প্রকাশিত হয়। এছাড়া সংবাদটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে শেয়ার ও আলোচনা হয়। সংবাদটি জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় ও ফৌজদারী কার্যবিধির ১৯০(১) (সি) ধারায় অত্র আদালতের নজরে আসে এবং জনসাধারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় উক্ত সংবাদটি আদেশের জন্য গ্রহণ করা হলো। সংবাদ বিশ্লেষণে দেখা যায়, ফেইসবুক ও টেলিগ্রাম অ্যান্সের মাধ্যমে বিভিন্ন ভাইরাল ভিডিও, ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও এবং নগ্ন ও পর্নো ভিডিও টেলিগ্রামের বিভিন্ন গ্রুপ পরিচালনা করে অর্থের বিনিময়ে ও হয়রানী করার জন্য তা শেয়ার করা হয়। এর ফলে মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লংঘন ও ভিডিওর মাধ্যমে জনসাধারণ ও বিশেষ করে নারীদের হয়রানি করা হয় মর্মে সংবাদে প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদে অপরাধ পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২ ও পেনাল কোড ১৮৬০-এর ৪২০/৪১৯/৪০৬/৫০৬ সহ প্রচলিত বিভিন্ন আইনের সরাসরি লংঘন এবং অপরাধ মর্মে প্রতীয়মান হয়।