ঢাকা শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

তিস্তার পানির হিস্যা বাস্তবায়নের দাবি

ঢাকা কলেজে মশাল মিছিল
তিস্তার পানির হিস্যা বাস্তবায়নের দাবি

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে ঢাকা কলেজে মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় কলেজের মূল ফটকে এ কর্মসূচির আয়োজন করে নর্থ বেঙ্গল স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ও ঢাকা কলেজের ছাত্রসমাজ। মশাল মিছেলের আগে ঢাকা কলেজের মূল ফটকের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের এমপি পদপ্রার্থী ও ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক কামাল আহমেদ আনোয়ার। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নাশিদ আলম, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক পিয়াল হোসেন, সদস্য সচিব মিল্লাদ হোসেনসহ উত্তবঙ্গের বিভিন্ন জেলার ছাত্রনেতা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের প্রতিনিধি গণ। বিক্ষোভ সমাবেশের পর মশাল মিছিল ঢাকা কলেজের মূল ফটক থেকে শুরু করে সাইন্সল্যাব এলাকা হয়ে শেষ হয়। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

মিছিলে শিক্ষার্থীরা তিস্তা নিয়ন্ত্রণ ও ন্যায্য পানির দাবিতে জোরালো স্লোগান দেন- তিস্তা নিয়ে তালবাহনা, চলবে না চলবে না, তিস্তা নিয়ে কান্না আর না আর না, জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাও, ভারতীয় আগ্রাসন আর না ইত্যাদি। ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক পিয়াল হাসান সমাবেশে বলেন, উত্তরবঙ্গকে আলাদা করে দেখার কোনো কারণ নেই। তিস্তা দেশের সকলের জন্য প্রয়োজন। উত্তরবঙ্গের কৃষকের ফলস্রষ্টি সারা বাংলাদেশ ভোগ করে; তাই আন্তর্জাতিক নদীবণ্টন চুক্তি অনুযায়ী স্বাধীন নদী বণ্টন নিশ্চিত করে তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য বণ্টন সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে।

প্রধান অতিথি কামাল আহমেদ আনোয়ার বলেন, চিনের দুঃখ হল হুয়াংহো, আর বাংলাদেশের দুঃখ তিস্তা। উত্তরবঙ্গের মানুষের প্রতি অনিয়ম ও বৈষম্য চোখে জল এনে দেয়; এ বৈষম্যের অবসান হওয়া জরুরি। তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর বড়ো কথা বললেও তিস্তা সমস্যা সমাধানে কোন কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সরকার যদি আগামী নভেম্বরের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন না করে, তাহলে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নিয়ে তারা সারা ঢাকায় বিশাল মশাল মিছিলের কর্মসূচি গ্রহণ করবে বলে জানানো হয়। অনুষ্ঠানে তিনি আন্তরিক হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, তিস্তা তীরের মানুষের কষ্ট সহ্য করা হবে না; প্রয়োজন হলে যমুনা অভিমুখেও আন্দোলন বড় করা হবে। তার বক্তব্যে বলা হয়, উত্তরবঙ্গের আড়াই কোটি মানুষের সমস্যা কেবল স্থানীয় নয়, তিস্তা সংকট সারা দেশের জলবণ্টন ও জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করে। ভারতের প্রতি অনুরোধও করেছেন সাধারণ নাগরিকদের ওপর হিংসার ব্যবহারের বিরুদ্ধে থাকতে বলাই উচিত।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত