
মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের দীর্ঘদিনের দাবি- ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশাসনিক ধীরগতির প্রতিবাদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট পেশাজীবিরা। সেইসঙ্গে অবিলম্বে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট-ফার্মাসিস্টদের দশম গ্রেডের দাবি বাস্তবায়ন না হলে কর্মবিরতির হুমকি দিয়েছেন তারা।
তাদের দাবি, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ফাইল আটকে রেখেছে, যা ক্ষোভের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা বলছেন, দ্রুত সিদ্ধান্ত না এলে সারাদেশেই কর্মবিরতিতে যেতে বাধ্য হবেন। গতকাল সোমবার বিকেল চারটার দিকে প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে সরকারের প্রতি সতর্কবার্তা দিয়েছেন তারা। আন্দোলনকারীরা বলছেন, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ছয় দফা দাবির কেন্দ্রে থাকা বিষয়টি- পদমর্যাদা ১১তম গ্রেড থেকে উন্নীত করে ১০ম গ্রেডে উন্নয়ন।
দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্যবিরোধী জাতীয় মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট পরিষদ এই দাবি ঘিরে কাজ করলেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ফাইলের অগ্রগতি থমকে আছে। এই ধীরগতি নিয়ে আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া পেশাজীবীরা তীব্র ক্ষোভ জানান। আয়োজকদের ভাষায়, সমমানের ডিপ্লোমাধারী উপসহকারী প্রকৌশলী, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা এবং সিনিয়র স্টাফ নার্সরা ইতোমধ্যে ১০ম গ্রেড পেয়েছেন। অথচ হাসপাতালের রোগ নির্ণয়, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও জরুরি সেবার মূল অংশটি পরিচালনা করা সত্ত্বেও মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের দাবি উপেক্ষিত। তাদের অভিযোগ, এই ‘প্রতারণামূলক বৈষম্য’ পেশাজীবীদের হতাশা ও ক্ষোভ বাড়িয়ে তুলছে। মানববন্ধনে বক্তারা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা উল্লেখ করে তারা বলেন, সারাদেশে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কমপক্ষে ৫০ হাজার নতুন পদ তৈরি জরুরি। মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা জানান, পর্যাপ্ত টেকনোলজিস্ট না থাকায় অনেক হাসপাতালেই প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ব্যাহত হচ্ছে, আর এর প্রভাব রোগীর ওপরই ফিরে আসছে। বক্তারা করোনা মহামারির উদাহরণ টেনে বলেন, জীবনঝুঁকি নিয়ে রোগ নির্ণয়ের কাজ চালিয়ে গেলেও তাদের পেশাগত মর্যাদা ও আর্থিক সুবিধা বাড়েনি। তাদের মতে, ১০ম গ্রেড বাস্তবায়িত হলে এই পেশায় মেধাবীরা আরও উৎসাহিত হবেন এবং স্বাস্থ্যসেবার মানও উন্নত হবে। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন মো. জহুরুল ইসলাম এবং সঞ্চালনা করেন সালেহীন আবেদিন তানিম। বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কমিটির সোহেল হাওলাদার, মাসুম রেজা, মোজাম্মেল রাসেল, আহমদ আলিসহ অনেকে।