
তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারে স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের (সংশোধিত-২০১৩) যথাযথ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটি-বিআরটিএ-র উদ্যোগ ও ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের সহযোগিতায় মোট ১৫৭০ জন গণপরিবহন চালককে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চলতি মাসে আট ধাপে রাজধানীর জোয়ার সাহারা বিআরটিসি বাস ডিপোতে ‘পেশাজীবী গাড়ি চালকদের পেশাগত দক্ষতা ও সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ’ শিরোনামে আয়োজিত প্রশিক্ষণে পেশাদার গাড়ি চালকদের মধ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন ও স্বাস্থ্য ক্ষতি বিষয়ক তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার অদুত রহমান ইমন। প্রশিক্ষণে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ধূমপানের কুফল, স্বাস্থ্য ঝুঁকি, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সম্পর্কে গণপরিবহন চালকদের (বাস, সিএনজি, লেগুনা, টেম্পু) অবহিত করা হয়।
চালক ও চালকের সহকারীদের ধূমপানের ফলে গণপরিবহনে পরোক্ষভাবে ধূমপানের শিকার হন যাত্রীরা, বিশেষ করে নারী ও শিশুরা। ফলে ধূমপান না করেও একই রকম ক্ষতির শিকার হচ্ছেন তারা। এ সময় ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে অংশ্যগ্রহণকারী চালকদের গণপরিবহনে ধূমপানের অপকারিতা বিষয়ে সু-স্পষ্ট ধারণা ও আইনের বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে বাস চালকদের সামনে বিস্তারিত উপস্থাপন করা হয়। পাবলিক প্লেস যেমন- বাস টার্মিনাল, বিমান বন্দর, রেলস্টেশন, নৌ-বন্দর, সরকারি বিভিন্ন অফিসসহ গণ-জমায়েত স্থলে ধূমপান আইনত শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যেসব স্থানে প্রত্যক্ষ ধূমপানকারীদের কারণে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছেন অনেক শিশু-মহিলাসহ সব অধূমপায়ীরা। গণপরিবহন শতভাগ তামাকমুক্ত রাখা ও আইনের বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন ও বিআরটিএ-র যৌথ উদ্যোগে প্রতি সপ্তাহেই নিয়মিতভাবে এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। সূত্র: সংবাদ বিজ্ঞপ্তি