ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ভবনের নকশা আটকে ঘুষ দাবি, সিডিএতে দুদকের অভিযান

ভবনের নকশা আটকে ঘুষ দাবি, সিডিএতে দুদকের অভিযান

ভবনের নকশা অনুমোদনের পরও অনুমোদনপত্র বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি ভবন মালিককে। উল্টো ঘুষের দাবিতে দফায় দফায় হয়রানি করা হয়। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) কার্যালয়ে অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানে নকশার অনুমোদনপত্র আটকে রাখার সত্যতা পায় দুদক। গতকাল বুধবার দুপুরে এই অভিযান পরিচালনা করে দুদক। দুদক ও সিডিএ সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়ার সৈয়দ শাহ সড়ক এলাকায় ১৩তলা ভবনের জন্য আবেদন করেছিলেন হাসান মুরাদ নামের এক ব্যক্তি। তিনি ২০২৩ সালের ২৩ মে ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র (এলইউসি) পান। পরবর্তী সময়ে ২০২৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর বিশেষ আবেদন এবং ২০২৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি বিশেষ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।

এরপর ২০২৪ সালের ২ এপ্রিল নকশা অনুমোদনের জন্য আবেদন করলে ওই বছরের ১৩ মে নকশা অনুমোদন দেওয়া হয়, কিন্তু নকশা অনুমোদনপত্র তাকে দেওয়া হয়নি।দুদকের কর্মকর্তারা জানান, ভুক্তভোগী পক্ষ দুদকের কাছে অভিযোগ করেছিল। অভিযোগে তৎকালীন অথরাইজড কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসান, সহকারী অথরাইজড অফিসার মোহাম্মদ ইলিয়াস আক্তার, সহকারী নগর পরিকল্পনাবিদ কামাল হোসেন এবং সেকশন অফিসার আলমগীর তালুকদারের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগকারীর দাবি, অনুমোদনপত্র ইস্যুর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মোট প্রায় ৫০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন এবং এখনো অর্থ দাবি করা হচ্ছে।হাসান মুরাদের দুদকে করা অভিযোগে বলা হয়েছে, নকশা অনুমোদন হওয়ার পরও অনুমোদনপত্র ইস্যু করা হয়নি; বরং সিডিএর কর্মকর্তা আলমগীর তালুকদারসহ কয়েকজন কর্মকর্তা নথি বিভিন্ন সময় ইচ্ছাকৃতভাবে আটকে রেখে ঘুষ দাবি করেন। অনুমোদনপত্র না দিয়ে নানা অজুহাতে অর্থ নেওয়া হয় এবং একপর্যায়ে ভবন ভাঙা ও জরিমানার মতো পদক্ষেপ নেওয়া হয়। অভিযান শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক সায়েদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, প্রাথমিক তদন্তে অনুমোদনপত্র আটকে রাখার অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেছে। ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে বিস্তারিত তদন্ত করা হবে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট নথি ও আদেশ পর্যালোচনা করে কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নকশা অনুমোদন পাওয়ার পরও অনুমোদনপত্র ইস্যু না করা একটি গুরুতর অনিয়ম এবং এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত