প্রিন্ট সংস্করণ
০০:০০, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিচলিত না হয়ে ধৈর্য ধারণ করা মোমিনের পরিচয়। আল্লাহ কিছু কিছু বিপদাপদ দিয়ে মানুষকে সতর্ক করেন। আল্লাহ বলেন, ‘আমি অবশ্যই কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং জানমাল ও ফলফলাদির ক্ষতির মাধ্যমে তোমাদের পরীক্ষা করব। তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও, যারা নিজেদের বিপদ-মসিবতের সময় বলে, নিশ্চয় আমরা আল্লাহর জন্য এবং নিশ্চয় আমরা আল্লাহর কাছেই ফিরে যাব। তাদের ওপর রয়েছে তাদের রবের পক্ষ থেকে মাগফিরাত ও রহমত এবং তারাই হেদায়াতপ্রাপ্ত।’ (সুরা বাকারা : ১৫৫-১৫৭)।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় কিছু সুন্নত আমল করার মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচা যায়। যখন কোথাও ভূমিকম্প সংঘটিত হয় অথবা সূর্যগ্রহণ হয়, ঝোড়ো বাতাস বা বন্যা হয়, তখন সবার আল্লাহর কাছে তওবা করা, তাঁর কাছে নিরাপত্তার জন্য দোয়া করা, তাঁকে স্মরণ করা এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘দ্রুততার সঙ্গে আল্লাহর জিকির কর, তাঁর কাছে তওবা কর।’ (বোখারি : ২/৩০, মুসলিম : ২/৬২৮)।
আল্লাহর জিকিরের সর্বোত্তম উপায় হচ্ছে নামাজ পড়া, কোরআন তেলাওয়াত বা দোয়া-দরুদ পাঠ করা। দুর্যোগের সময় আল্লাহকে স্মরণ করে বিপন্মুক্ত থাকার আরও উপায় হতে পারে ইস্তিগফার ও তাসবিহ পাঠ ইত্যাদি। হাদিসে বর্ণিত আছে, প্রচণ্ড ঝোড়ো হাওয়া বইলে রাসুলুল্লাহ (সা.) মসজিদে যেতেন এবং নামাজে মশগুল হতেন। (মিশকাতুল মাসাবিহ : ৬৯৬)।