যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশি সহায়তা বন্ধের ঘোষণায় ‘ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের’ (ইউএসএআইডি) বাংলাদেশে চালানো প্রকল্পে অর্থায়ন থেমে গেলে কর্মসূচিগুলোকে আর ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা দেবে না জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ‘গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট প্রটোকলের অধীনে’ এ সব প্রকল্পে পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে ভ্যাট অব্যাহতি দিয়ে আসছিল এনবিআর। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের অর্থায়ন বন্ধের ঘোষণায় ইউএসএআইডির প্রকল্পগুলোর ব্যাপারে বিধান সংশোধন করে গত রোববার আদেশ জারি করেছে কর আদায় সংস্থাটি। আদেশে বলা হয়েছে, ‘এখন থেকে ইউএসএআইডির অর্থায়নে চলা প্রকল্প শেষ হয়ে গেলে এ সুবিধা (ভ্যাট অব্যাহতি) থেকে বাতিল হয়ে যাবে। আর নতুন কোনো প্রকল্প যুক্ত হলে সেই প্রকল্প অব্যাহতির আওতায় চলে আসবে।’ প্রকল্পগুলোর ব্যাপারে এনবিআরের আগের আদেশে এ বিষয়টি স্পষ্ট ছিল না। এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব (মূসক বিধি) মো. বদরুজ্জামান মুন্সী বলেন, ‘ওই অব্যাহতি আগে থেকেই চলছিল। এবার আমরা সংশোধন করে বলেছি- যে কোনো প্রকল্পে অর্থায়ন হলে সেটি অটো যুক্ত হয়ে যাবে। আর কোনো প্রকল্পে অর্থায়ন শেষ হলে অটো বাদ হয়ে যাবে।’ বিষয়টির ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, বর্তমানে ‘চার-পাঁচটি প্রকল্প’ রয়েছে, যাদের পণ্য সরবরাহ করা হয়েছে। এখন তারা তাদের কুপনের পরিবর্তে যেন ভ্যাট অব্যাহতি পায়, তাই এটি সংশোধন করা হয়েছে। ক্ষমতায় বসেই বিদেশে প্রায় সব রকমের সহায়তা ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তাতে বিভিন্ন বৈশ্বিক কর্মসূচির কোটি কোটি ডলারের তহবিল পড়েছে হুমকির মুখে। বিদেশে মার্কিন সহায়তা ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতির নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না’ তা পর্যালোচনার জন্য ফেব্রুয়ারিতে মানদ- তৈরি করবে ট্রাম্প প্রশাসন। এই পর্যালোচনার পরে সহায়তা কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া, সংশোধন করা বা সমাপ্ত করা হবে কি না- সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এর আগে আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে জানায়, ২০২৩ সালে ওয়াশিংটন ৭ হাজার ২০০ কোটি (৭২ বিলিয়ন) ডলার বিদেশে সহায়তা দিয়েছে। এ সব অর্থ ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টসহ (ইউএসএআইডি) বিভিন্ন বৈশ্বিক কর্মসূচি, স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও ট্রেজারি বিভাগ দিয়েছে। বিবিসি বলছে, ইউএসএআইডি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ত্রাণ সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা, যার বাজেটের বেশিরভাগ অংশ ব্যয় হয় স্বাস্থ্য কর্মসূচিতে।