ঢাকা বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার আহ্বান জাকির-আতিকের

এফবিসিসিআই নির্বাচন
ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার আহ্বান জাকির-আতিকের

বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সমাজের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে নতুন বাণিজ্য সংগঠন আইন ২০২২ এবং তার আওতায় গঠিত বিধিমালা ২০২৩। এই আইনের ফলে দেশের শীর্ষ বাণিজ্যিক সংগঠনগুলোর পরিচালনা পর্ষদে ব্যবসায়ীদের সরাসরি ভোটাধিকার সীমিত হয়ে পড়েছে। এর প্রতিবাদে এবং গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রাজধানীর এক হোটেলে আয়োজিত এক প্রেস কনফারেন্সে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ স্পষ্ট ভাষায় তাদের মতামত তুলে ধরেন। ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে নির্বাচনটি হবে। এই সম্মেলনের আয়োজন করে বৈষম্য বিরোধী সংস্কার পরিষদ, যা বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের অনুমোদিত একটি প্ল্যাটফর্ম। এতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের আহ্বায়ক এবং আসন্ন ঋইঈঈও সভাপতি পদপ্রার্থী জনাব জাকির হোসেন নয়ন, এবং মিডিয়া ও লিয়াজো কমিটির চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আতিকুর রহমান। আহ্বায়ক জাকির হোসেন নয়ন বলেন, এই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হচ্ছে, অথচ যারা এই অগ্রযাত্রার মূল চালিকাশক্তি — সেই ব্যবসায়ীরাই আজ নেতৃত্ব নির্বাচনে পিছিয়ে পড়েছেন। ঋইঈঈও নির্বাচনকে যদি অংশগ্রহণমূলক না রাখা হয়, তবে সেটা হবে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার জন্য এক বড় প্রতিবন্ধকতা। তিনি আরও বলেন, বাণিজ্য সংগঠন আইন ২০২২-এর বিধান অনুযায়ী, এখন নির্বাচিত পরিচালকদের মাধ্যমেই সভাপতি নির্বাচন হবে। এভাবে ভোটাধিকার হরণ করে যদি নেতৃত্ব নির্ধারিত হয়, তবে ব্যবসায়ী সমাজের মধ্যে আস্থা ভঙ্গ হবে। আতিকুর রহমান, যিনি একজন সফল উদ্যোক্তা ও ঋইঈঈও-এর বৈষম্য বিরোধী সংস্কার পরিষদের মিডিয়া ও লিয়াজো কমিটির চেয়ারম্যান, বলেন: ব্যবসায়ীদের স্বার্থে আমরা দীর্ঘদিন ধরে মাঠে আছি। আমরা বিশ্বাস করি, নেতৃত্ব আসবে ভোটের মাধ্যমে। সরকার-নির্ধারিত প্রতিনিধি নয়, প্রকৃত ব্যবসায়ীরাই ঠিক করবেন কে তাদের প্রতিনিধিত্ব করবেন। বর্তমান বিধিমালায় সেটার ঘাটতি রয়েছে। তিনি যোগ করেন, আমরা চেয়েছি একটি উদার, স্বচ্ছ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিভাজন নয়, দরকার ঐক্য। সেই ঐক্য প্রতিষ্ঠায় আমরা কাজ করছি, দেশজুড়ে আমরা একাধিক মতবিনিময় সভা ও সেমিনার করছি।” এলডিসি উত্তরণ এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা প্রসঙ্গে নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে উত্তীর্ণ হবে। এই উত্তরণ একদিকে যেমন গৌরবের, অন্যদিকে তেমনি রয়েছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের নানা চ্যালেঞ্জ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত