প্রতি বছরই বেশিরভাগ সময় অস্থির থাকে পেঁয়াজের বাজার। গত বছরেরও এই সময়ে ৮০-৯০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছিল রান্নায় বহুল ব্যবহৃত এই খাদ্য পণ্যটি। তবে এই বছর চিত্র ভিন্ন। বর্তমানে রাজধানীতে ৪০-৫০ টাকায় নেমেছে পেঁয়াজের দাম। রাজধানীর বিভিন্ন মহল্লায় ও ফুটপাতে ভ্যানে করে ৪০ টাকা হাঁক-ডাকেও ক্রেতাদের তেমন সারা পাওয়া যাচ্ছে না। পেঁয়াজের দাম কম থাকলেও বাড়তি রসুনের দাম। গতকাল সরেজমিনে রাজধানীর বাড্ডা, কমলাপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বাড্ডা আদর্শ নগর এলাকায় ভ্যানে করে ৪০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজের দাম হাঁকছিলেন স্থানীয় এক বিক্রেতা। তবুও ক্রেতাদের দেখা মিলছে না। বিক্রেতা বলেন, গত বছর এই সময়ে পেঁয়াজ বিক্রি করেছি ৮০-৯০ টাকা।
আর এইবার ৪০ টাকায় বিক্রি করছি। তাও দেখতেছেন অবস্থা। শুধু এই এলাকাতেই নয়। রাজধানীর কমলাপুর ফুটওভার ব্রিজেও দেখা গেছে একই অবস্থা। দিন গড়িয়ে রাতে শেষ সময়ে আরও কম দামে বিক্রি হয় পেঁয়াজ। তখন ৩৫ টাকাতেও এখানে পাওয়া যায় পেঁয়াজ। পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম আরও কম। বিভিন্ন পাইকারি বাজারে নতুন মূলকাটা পেঁয়াজ ৯০০-১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কোনো কোনো বাজারে আরও কম। তবে পেঁয়াজের দাম কম থাকলেও বাড়তি রয়েছে রসুনের দাম। নতুন দেশি বিক্রি ১২০-১৪০ টাকায়। আর পাইকারি বাজারে প্রতিমণ বিক্রি হচ্ছে ২৭০০-৩৬০০ টাকায়। এই বছর কমেছে আলুর দামও। আড়াই-তিন মাস আগেও যেখানে আলু ৮০ টাকা কেজিতে কিনতে হয়েছে তা এখন ২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
কিছু কিছু সবজি একেবারেই অবিশ্বাস্য কম দামে বিক্রি হচ্ছে। এমনকি ধনীদের সুপারশপেও কম দামে মিলেছে সবজি। বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, লম্বা বেগুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা, গোল বেগুন ৪০-৫০ টাকা, ফুলকপি ২৫-৫০ টাকা পিস, একই দামে বাঁধাকপি। শালগম ২০-৩০ টাকা, শিম ৪০-৫০ টমেটো ২০-৩০, কড়লা ৭০-৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০-৬০ টাকা, মান ও সাইজভেদে লাউ ৩০-৬০ টাকা, শশা ৩০-৪০, মুলা ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা গেল সপ্তাহজুড়ে প্রায় একই দামে বিক্রি হয়েছে।
কিছুদিন আগেও ২০ টাকার নিচে কোনো শাক পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে এখন ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন শাকের আটি। এর মধ্যে পালং শাক ১০-১৫ টাকা, লাল শাক আটি ১০ টাকা, ডাটা শাক ১০-১৫ টাকা, লাউ শাক ৩০-৪০, বথুয়া শাক ১৫-২০ টাকা আটি বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে দোকানের তুলনায় ভ্যানে কিংবা ফুটপাতের দোকানগুলোতে প্রত্যেক সবজির দাম ৫-১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। কম দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচও। কাঁচা মরিচ ৬০-৮০ টাকা। যা গত সপ্তাহেও প্রায় একই দামে বিক্রি হয়েছে।