
বাজারে নতুন আলুর সরবরাহ বেড়েছে। এতে কমতে শুরু করেছে আলুর দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি আলুতে ১৫-২০ টাকা দাম কমেছে। ফলে অনেকটা পুরোনো আলুর কাছাকাছি পর্যায়ে এ দাম চলে এসেছে। অন্যদিকে বাজারে নতুন পেঁয়াজ ও আমদানি করা পেঁয়াজ এলেও পণ্যটির দাম চড়া রয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি নতুন আলু ৩৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। নতুন আলু আকারে ছোট হলে দাম আরও কমে যায়, কেজি বিক্রি হয় ২৫-৩০ টাকায়। অন্যদিকে এখন বাজারে প্রতি কেজি পুরোনো আলু বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকা দরে। রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, টাউন হল বাজার ও কারওয়ান বাজার ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিক্রেতারা জানান, বছরের নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে কৃষকেরা জমি থেকে নতুন আলু তোলা শুরু করেন। ২০-২৫ দিন আগে যখন বাজারে নতুন মৌসুমের আলু আসা শুরু করেছিল, তখন প্রতি কেজি আলুর দাম ছিল ১৩০-১৫০ টাকা। পরে সরবরাহ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ দাম কমতে থাকে। গত সপ্তাহে বাজারে এক কেজি নতুন আলু বিক্রি হয়েছিল ৫০ টাকার আশপাশে। আর আগের সপ্তাহে এ দাম ছিল ৮০-১০০ টাকা।
মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের বিক্রেতা আব্বাস আকন্দ বলেন, ডিসেম্বর মাসের শেষ নাগাদ নতুন আলুর সরবরাহ আরও বাড়বে। তখন নতুন ও পুরোনো আলুর দাম প্রায় সমান হয়ে যাবে।
গত বছরের এ সময়ের তুলনায় বর্তমানে আলুর দাম বেশ কম রয়েছে। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুসারে, গত বছর ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে বাজারে নতুন ও পুরোনো উভয় ধরনের আলু বিক্রি হয়েছে ৬০-৭০ টাকা কেজি দরে।
ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছর চাহিদার তুলনায় উৎপাদন অনেক বেশি হওয়ায় এর মাসখানেকের মধ্যেই আলুর দাম পড়ে যায়। তখন ২০-৩০ টাকা কেজি ছিল। এরপর বছরের অধিকাংশ সময়ে ২০-২৫ টাকার আশপাশে আলু বিক্রি হয়েছে। তবে চলতি বছর আলুর দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি থাকতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিক্রেতারা।