ঢাকা বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

বরেন্দ্র অঞ্চলে ভূ-পৃষ্ঠস্থ পানি সংরক্ষণ জরুরি : বিশেষজ্ঞরা

বরেন্দ্র অঞ্চলে ভূ-পৃষ্ঠস্থ পানি সংরক্ষণ জরুরি : বিশেষজ্ঞরা

বৃষ্টিপাত কম হওয়ার কারণে বরেন্দ্রসহ এ অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান পানি সংকট মোকাবিলায় ভূ-পৃষ্ঠস্থ পানি সংরক্ষণ অত্যন্ত জরুরি বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। অঞ্চলটিতে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর দ্রুত নেমে যাচ্ছে, মূলত কৃষি সেচের জন্য নির্বিচারে পানি উত্তোলনের কারণে। গত ২০ বছরে ভূ-গর্ভস্থ পানি উত্তোলন ও কৃষি জমিতে কীটনাশকের ব্যবহার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর চৌধুরী সারওয়ার জাহান বাসসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আজ বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাজশাহী, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ২৫টি উপজেলার ৪ হাজার ৯১১টি গ্রামকে পানি-সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেছে। জাতীয় পানি সম্পদ কাউন্সিলের (এনডব্লিউআরসি) ১৮তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এ অঞ্চলকে আগামী ১০ বছরের জন্য পানি-সংকটাপন্ন ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময়কালে পানীয় জল ছাড়া অন্য কোনো কাজে ভূ-গর্ভস্থ পানি উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

তিনি বলেন- গেজেট অনুযায়ী, নিষিদ্ধ অঞ্চলে সেচ ও শিল্পকারখানার জন্য আর কোনো ভূ-গর্ভস্থ পানি ব্যবহার করা যাবে না। প্রফেসর সারওয়ার জাহান জানান, পানি সংকট মোকাবিলায় ভূ-উপরিস্থ পানি সম্পদ বাড়াতে হবে। পদ্মা নদীর পানি বরেন্দ্র এলাকায় এনে সেচে ব্যবহার করা জরুরি। একই সঙ্গে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও আহরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন- সরকারি পুকুর, খাল, বিল ও জলাভূমি ইজারা দেওয়া বন্ধ করতে হবে এবং কৃষি কাজে সেগুলোর পানি উন্মুক্ত রাখতে হবে। পাশাপাশি কম পানি-নির্ভরশীল ফসল চাষকে ব্যাপকভাবে উৎসাহিত করতে হবে। উন্নয়নকর্মী জাহাঙ্গীর আলম খান জানান, বরেন্দ্র এলাকায় প্রায় ১০ হাজার পুকুর, ২০০ খাল এবং আরও ১০টি বড় জলাশয় রয়েছে। এরমধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার বিশাল বিল ভাতিয়া জলাভূমি রয়েছে, যার আয়তন প্রায় ৬ হাজার ৩৮৮ একর।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত