‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’ জিলহজ মাসের ৯ তারিখের ফজর থেকে ১৩ তারিখের আসর পর্যন্ত প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর পুরুষদের জন্য উচ্চস্বরে ও নারীদের জন্য নিম্নস্বরে একবার উল্লিখিত তাকবিরে তাশরিক পড়া ওয়াজিব।
ইবরাহিম (আ.) ছেলে ইসমাইলের পরিবর্তে যে ভেড়া জবাই করেন, পবিত্র কোরআন একে (বেজিবহিন আজিম) বিরাট কোরবানির পশু হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। মুফাসসিররা বলেছেন, যে ভেড়া আল্লাহর পক্ষ থেকে পাঠানো হয়েছে, ফেরেশতা জিবরাইল নিয়ে এসেছেন এবং ছেলে কোরবানির বিরাট পরীক্ষার বিনিময়ে প্রাপ্ত হয়েছেন, তা তো মর্যাদার দিক দিয়ে বিরাট হবেই। কোনো কোনো বর্ণনা অনুযায়ী, এই পশু আদম (আ.)-এর ছেলে হাবিলের কোরবানির ভেড়া, যা আল্লাহর দরবারে কবুল হয়েছিল। দীর্ঘ ৪০টি বসন্তু বেহেশতের বাগানে প্রতিপালিত হয়েছে আর ইসমাইল (আ.)-এর বেলায় দ্বিতীয়বার কবুল হয়েছে, তা তো বিরাট নামে আখ্যায়িত হবেই।
তাফসিরের কিতাবে আছে, ‘হে ইবরাহিম, নামে গায়েবি আওয়াজ শোনার পর ইবরাহিম (আ.) যখন ওপরের দিকে তাকান, তখন দেখেন যে ফেরেশতা জিবরাইল (আ.) দণ্ডায়মান। তার সঙ্গে সফেদ রঙের শিংযুক্ত মোটাসোটা একটি ভেড়া। জিবরাইল বললেন, এই পশু আপনার ছেলের বিনিময়ে আপনার জন্য উৎসর্গিত। আপনি ইসমাইলের পরিবর্তে এটি জবাই করুন। তখনই জিবরাইল বলছিলেন, ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার।’ ইবরাহিম তার সঙ্গে সঙ্গে বললেন, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।’ আর ইসমাইল বলে উঠলেন, ‘আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’ এই তাকবির ঈদের দিনগুলোতে ও হজের মানাসিক চলাকালে পাঠ করার রেওয়াজ শুরু হয় তখন থেকে। (‘বেজিবহিন আজিম’ আয়াতাংশের তাফসির দ্রষ্টব্দ তাফসিরে কাশফুল আসরার, খাজা আব্দুল্লাহ আনসারি ও রশিদ উদ্দিন মাইবেদিতে)।