ঢাকা বুধবার, ২৮ মে ২০২৫, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ব্রাদার্সে পয়েন্ট খোয়ালো আবাহনী

ব্রাদার্সে পয়েন্ট খোয়ালো আবাহনী

আগের দিন নবাগত ইয়ংমেন্স ফকিরেরপুলের বিপক্ষে অঘটনের শিকার হয়েছিল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। পুচকে দলটির কাছে তিন পয়েন্ট খুইয়ে মাঠ ছেড়েছিল ব্ল্যাক এন্ড হোয়াইট খ্যাত দলটি। গতকাল শনিবার আলফাজ আহমেদের দলের আরো কাছে আসার সুযোগ এসেছিল ঢাকা আবাহনীর। কিন্তু সেই সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেনি তারা। মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নের সঙ্গে গোলশূন্য (০-০) ড্র করেছে ঢাকা আবাহনী। একই দিনে অন্য ম্যাচে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনাতে চট্টগ্রাম আবাহনীকে (১-০) গোলে হারিয়েছে ফর্টিস এফসি। ৯ ম্যাচ খেলে ৮ টিতেই হারলো বন্দর নগরীর দলটি। ড্র করে শীর্ষে থাকা মোহামেডানের সঙ্গে ৪ পয়েন্টের পার্থক্য হলো দ্বিতীয় স্থানে থাকা ঢাকা আবাহনীর। গতকাল শনিবার মুন্সিগঞ্জে শুরু থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ ফুটবল খেলেছে আবাহনী ও ব্রাদার্স। তবে স্থানীয়দের নিয়ে গড়া আবাহনীর বিপক্ষে বেশি আক্রমণের সুযোগ পেয়েছেন ব্রাদার্সের বিদেশি ফুটবলাররা। তারা বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ সৃষ্টিও করেছিল। কিন্তু আবাহনীর গোলপোস্টে ছিলেন জাতীয় দলের অভিজ্ঞ গোলরক্ষক মিতুল মার্মা। তাই মিতুলকে ফাঁকি দিয়ে কোন গোল আদায় করে নিতে পারেনি ব্রাদার্স। আবাহনীও খুলতে পারেনি গোলমূখ। লিগের প্রথম পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে পয়েন্ট হারিয়েই মাঠ ছেড়েছে মারুফুল হকের শিষ্যরা। ম্যাচের ৮ মিনিটে প্রথম গোলের সুযোগ পেয়েছিল আবাহনী। ডান প্রান্ত থেকে শাহরীয়ার ইমনের বা পায়ের ক্রসে বক্সে বল পেয়ে ইব্রাহিম যে হেডটি নেন সেটিতে প্রথমে বাধা হয়ে দাড়ায় সাইড পোস্ট ও পরে গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানার মাথায় লেগে মাঠের বাইরে চলে যায়। ২১ মিনিটে বা প্রান্ত থেকে ব্রাদার্সের কৌশিক বড়ুয়ার কর্নার বক্সে পেয়ে হেড নিয়েছিলেন এলিটা কিংসলে। কিন্তু গোলের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেননি। ৩১ মিনিটে প্রায় মাঝ মাঠ থেকে পোস্ট লক্ষ্য করে শট নিয়েছিলেন মুনির। তবে প্রস্তুতই ছিলেন আবাহনীর অভিজ্ঞ গোলরক্ষক মিতুল মার্মা। বল সরাসরি গ্রিপে নেন তিনি। ৪২ মিনিটে সতীর্থের পাসে বক্সে জটলার মধ্যে বল পেয়ে প্রতিপক্ষের ফুটবলারকে কাটিয়ে ডান পায়ের বাক খাওয়ানো শট নেন ব্রাদার্সের সিকসেইন। কিন্তু বল আবাহনীর এক ফুটবলারের গায়ে লেগে চলে যায় মাঠের বাইরে। কর্নার পায় ব্রাদার্স। তবে সেখান থেকেও গোলের সুযোগ আসেনি। প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য। ৬২ মিনিটে আবারো আবাহনীর রক্ষণে কাপন ধরিয়েছিলেন সিকসেইন। পোস্ট ছেড়ে সামনে এগিয়ে এসেছিলেন মিতুলও। আরেকটু সময় পেলেই গোলটা আদায় করে নিতে পারতেন সিকসেইন। তবে তার আগেই বক্স থেকে বল ক্লিয়ার করেন আবাহনীর এক ডিফেন্ডার। ৭৪ মিনিটে বা প্রান্ত থেকে কামরুলের কর্নার বক্সে পেয়েছিলেন হৃদয় ও ইব্রাহিম। কিন্তু তারা বল দখলে নেয়ার আগেই বল ছিনিয়ে নিয়ে আক্রমণে যান ব্রাদার্সের জাকারিয়া। ৮৯ মিনিটে বক্সের কয়েক গজ দূরেই ফ্রি কিক পায় ব্রাদার্স। কৌশিক বড়ুয়ার স্পট কিকে বক্সে জটলার মধ্যে থেকে সিকসেইন আলতো করে পা ছুঁইয়ে দেন। তবে উড়ন্ত বলে হাত ছুইয়ে ব্রাদার্সকে নিশ্চিত গোলটি থেকে বঞ্চিত করেন মিতুল মার্মা। শেষ পর্যন্ত আর গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই। তাই গোলশূন্য থেকেই শেষ হয়েছে ম্যাচ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত