আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যে এয়ার ইন্ডিয়ার লন্ডনগামী একটি বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার (ফ্লাইট এআই১৭১) স্থানীয় মেঘানি নগর এলাকার একটি মেডিকেল কলেজের হোস্টেলের ওপর বিধ্বস্ত হয়। এতে হোস্টেল ভবন ধসে পড়েছে এবং বহু চিকিৎসক শিক্ষার্থীর মৃত্যু বা গুরুতর আহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্লেনটিতে ২৩২ জন যাত্রী এবং ১০ জন ক্রুসহ মোট ২৪২ আরোহী ছিলেন। ভারতীয় বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষ (ডিজিসিএ) জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, একজন কানাডীয় এবং সাতজন পর্তুগিজ নাগরিক থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, বিধ্বস্ত হওয়া হোস্টেলে প্রায় ৫০ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক থাকতেন, যারা আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। তাদের পাশের ভবনে ছিলেন রেসিডেন্ট চিকিৎসকেরা। এখনো হতাহতের সুনির্দিষ্ট সংখ্যা জানা না গেলেও ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ১৫ জন আহত চিকিৎসককে উদ্ধারের তথ্য পাওয়া গেছে।
একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই পুলিশ, দমকল এবং উদ্ধারকারী দল দ্রুত সেখানে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, হোস্টেল ভবন ভেঙে পড়ে আছে এবং বিমানের ধ্বংসাবশেষে আগুন লেগে আকাশে কালো ধোঁয়া উড়ছে।
স্থানীয় এক কর্মকর্তা বলেন, 'আহমেদাবাদের ইতিহাসে এটি অন্যতম একটি ভয়াবহ দিন। আমরা বহু তরুণের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি।' তবে নিহতদের সবার পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।
বিমানের পাইলট ছিলেন ক্যাপ্টেন সুমিত সাভারওয়াল, যার ৮,২০০ ঘণ্টার উড়াল অভিজ্ঞতা ছিল। ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্দরের ছিল ১,১০০ ঘণ্টার অভিজ্ঞতা। উড্ডয়নের পর পরই পাইলট ‘মেডে কল’ পাঠান, যা জরুরি সংকেত হিসেবে ব্যবহার হয়। তবে ওই বার্তার পর আর কোনো যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
বিধ্বস্তের কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। ডিজিসিএ একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে এবং উদ্ধার তৎপরতা শেষে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।