একটা সময় লিওনেল মেসিকে শুনতে হত অভিযোগটা। মেসি শুধু বার্সেলোনার, আর্জেন্টিনার নন! সেই মেসিই এখন হয়ে গেছেন আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি। তার জাদু ছোঁয়ায় ১৯৮৬ সালের পর আর্জেন্টিনা জিতেছে বিশ্বকাপ। ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে ঘিরেও এমন স্বপ্ন ব্রাজিলের। তবে সেই পুরোনো অভিযোগ, ভিনি তো রিয়ালের, ব্রাজিলের নন! পরিসংখ্যানও তাই বলবে। গত বছরের ২৯ জুনের পর ব্রাজিলের হয়ে আর জালের দেখা পাচ্ছিলেন না তিনি। এই সময়ে পাঁচ ম্যাচ খেলেও পাননি গোল, অথচ একই সময়ে রিয়ালের হয়ে দেখিয়ে চলেছিলেন ম্যাজিক। সেই জাদু দেখালেন গতকাল শুক্রবার কলম্বিয়ার বিপক্ষেও। ৯৯তম মিনিটে তার অসাধারণ গোলে জিতেছে ব্রাজিল। এর আগে ব্রাজিল পেনাল্টি পেয়েছিল বক্সে ভিনি ফাউলের শিকার হওয়াতেই। জাতীয় দলের হয়ে ৩৮তম ম্যাচে তার ষষ্ঠ গোলে হয়েছে ইতিহাস। লাতিন অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দেরিতে (৯৮ মিনিট ২১ সেকেন্ড) করা জয়সূচক গোল। ১০০ মিনিট ৪ সেকেন্ডে উরুগুয়ের ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার ম্যানুয়েল উগার্তের গোলটিই শুধু এগিয়ে ভিনির চেয়ে। এই গোলের পর ভিনির স্বস্তি, ‘জয়টা আমাদের প্রাপ্য ছিল। গোলটাও আমার প্রাপ্য ছিল। আজকের গোলটি আসলে স্বস্তির, সুখেরও। জাতীয় দলের হয়ে খেলাটা আসলে ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। যতবার খেলি, মনে হয় প্রথমবার।’ ম্যাচে একটা হলুদ কার্ড দেখলে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে সুপার ক্লাসিকো খেলা হত না ভিনিসিয়ুসের। অথচ মেজাজ গরম করে সেই কার্ড প্রায় দেখতে যাচ্ছিলেন তিনি। ইনজুরি টাইমের ১২তম মিনিটে তার জায়গায় লিও ওর্তিজকে বদলি হিসেবে নামানোর সংকেত দেখানো হচ্ছিল। তখনই কলম্বিয়ার ডিফেন্ডার জন লুকুমির বিরুদ্ধে কোনো একটি অভিযোগ নিয়ে রেফারির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন ভিনি। খারাপ কিছু আন্দাজ করে দৌড়ে ভিনিসিয়ুসকে প্রায় ঠেলে মাঠ ছাড়ার পথটা দেখিয়ে দেন রাফিনিয়া। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে যে ভীষণ দরকার তাকে। এটা বুঝতে পেরেই ভিনি বললেন, ‘আগে একটা হলুদ কার্ড দেখেছিলাম। বাছাইপর্বের খেলা সব সময়ই জটিল। দুটি কার্ড দেখলেই নিষিদ্ধ। বসে থাকা যাবে না পরের ম্যাচে (আর্জেন্টিনার বিপক্ষে)।’