ব্রাজিলে ছোটবেলা কেটেছে দাদির বাড়িতে টিভিতে প্রিমিয়ার লিগ দেখেই। তখন থেকেই স্বপ্ন দেখতেন লাল জার্সি গায়ে তোলার। এবার সেই স্বপ্নটাই সত্যি হলো ম্যাথিউস কুনহার। উলভারহ্যাম্পটন ছেড়ে ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেডে যোগ দিতে যাচ্ছেন ২৬ বছর বয়সি এই ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার। গত বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে কুনহার সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। প্রায় ১০৩৮ কোটি টাকা (৬২.৫ মিলিয়ন পাউন্ড) খরচ করে পাঁচ বছরের জন্য তাকে দলে ভিড়িয়েছে ইংলিশ জায়ান্টরা। চুক্তি অনুযায়ী ২০৩১ সালের জুন পর্যন্ত ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে থাকবেন তিনি।
স্বপ্নের ক্লাবে যোগ দিয়ে কুনহা বলেন, ‘ম্যানইউর খেলোয়াড় হওয়ার অনুভূতি ভাষায় বর্ণনা করা কঠিন। যখন থেকে আমি ব্রাজিলে ছোট ছিলাম এবং আমার দাদির বাড়িতে টিভিতে প্রিমিয়ার লিগের খেলা দেখতাম, তখন থেকেই ইংল্যান্ডে ইউনাইটেড আমার প্রিয় দল ছিল এবং আমি লাল জার্সি পরার স্বপ্ন দেখতাম।’ এরইমধ্যে ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেডের জার্সি গায়ে ফটোসেশনও সেরেছেন কুনহা। তবে তার অপেক্ষা সইছে না মাঠে নামার জন্য। তার লক্ষ্য, দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে ইউনাইটেডকে আবারো স্বরূপে ফিরিয়ে আনা। তাই এখন নিজের নতুন সতীর্থদের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার দিকেই নজর দিয়েছেন। কুনহা আরও যোগ করেন, ‘দলকে জানার এবং নতুন মৌসুমের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য আমি প্রাক-মৌসুম শুরুর অপেক্ষায় আছি। আমার পুরো মনোযোগ এখন দলের মূল্যবান অংশ হওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করা এবং এই ক্লাবটিকে আবার শীর্ষে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করা।’ পিছিয়ে পড়া ম্যানইউ এখন নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া। একের পর এক কোচ বদলালেও কাঙ্ক্ষিত সাফল্য মিলছে না। এবার দায়িত্ব নিয়েছেন নতুন কোচ রুবেন আমোরিম। ক্লাবকে পুনর্গঠনের পথে প্রথম বড় পদক্ষেপ হিসেবে তিনি দলে এনেছেন কুনহাকে। ২৬ বছর বয়সি এই খেলোয়াড় উলভসের হয়ে ৯২টি ম্যাচে ৩৩টি গোল করেছেন এবং ১৫টি অ্যাসিস্ট করেছেন, যার মধ্যে গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে ১৫টি গোলও রয়েছে। পেয়েছেন প্রিমিয়ার লিগ ক্লাবস প্লেয়ার্স প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার পুরস্কারও। এই পারফরম্যান্সই ইউনাইটেডের নজরে আনেন তাকে। প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ১-০ গোলে ঘরের মাঠে জয়ের খেলায় একমাত্র গোলে সহায়তা করে কুনহা ব্রাজিলকে ২০২৬ বিশ্বকাপের জন্য যোগ্যতা অর্জনে সাহায্য করেছিলেন। তিনি ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের গোলের সেটআপ করেছিলেন। কুনহাকে নিয়ে রুবেন আমোরিমের বাজি কতটা ফলপ্রসূ হয়, সেটাই এখন দেখার পালা।
