এশিয়া কাপ বিশ্ব র্যাংকিং টুর্নামেন্ট স্টেজ-২ এ খেলতে আজ সিঙ্গাপুর যাচ্ছে ১৪ সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ আর্চারি দল। ১৫-২০ জুন বুকিত গুমব্যাকে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতা। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের হয়ে রিকার্ভ পুরুষ ও মহিলা বিভাগে নয়টি ইভেন্টে খেলবেন ১১ জন আর্চার। সঙ্গে কোচ ও ম্যানেজার হিসাবে যাচ্ছেন আরও তিনজন। এদের মধ্যে রিকার্ভ পুরুষ ও মহিলা এককক, রিকার্ভ পুরুষ দলগত ও মিশ্র দলগত ইভেন্টে খেলবে বাংলাদেশ। তবে কম্পাউন্ডের পাঁচটি ইভেন্টেই লড়বেন লাল সবুজের আর্চাররা। রিকার্ভের আর্চাররা হলেন- আবদুর রহমান আলিফ, রামকৃষ্ণ সাহা, রাকিব মিয়া, সাগর ইসলাম ও মনিরা আক্তার। কম্পাউন্ড বিভাগের আর্চাররা হলেন- হিমু বাছাড়, নেওয়াজ আহমেদ রাকিব, সোহেল রানা, বন্যা আক্তার, পুষ্পিতা জামান ও কুলসুম আক্তার মনি।
গত মাসে বাংলাদেশ বিশ্বকাপ আর্চাারি খেলেছিল চীনের সাংহাইয়ে। সেই টুর্নামেন্টে রিকার্ভ কোনো নারী আর্চারই ছিলেন না। আর্চারির অন্যতম ইভেন্ট রিকার্ভ। নারী রিকার্ভ ইভেন্টে ব্যক্তিগত ও দলীয় উভয় ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অনেক সাফল্য রয়েছে। সেই সাফল্যের অংশ ছিলেন দিয়া সিদ্দিকী। সেই দিয়া এই বছরের শুরুতে উন্নত জীবনের আশায় আমেরিকায় পাড়ি জমান স্বামী আরেক রিকার্ভ আর্চার রোমান সানার সঙ্গে। দিয়ার শূন্যতা বাংলাদেশের নারী রিকার্ভে স্পষ্টতই পড়েছে। বিশ্বকাপে নারী রিকার্ভ আর্চার কেউ ছিলেন না। এশিয়ান কাপে নেই দলগত বিভাগে। নারী রিকার্ভ আর্চারের সংকট সম্পর্কে বাংলাদেশের জার্মান কোচ মার্টিন ফ্রেডরিক বলেন, ‘দিয়ার শূন্যতা এখনও পূরণ হয়নি। এটি সত্য ও বাস্তব। শিমু, ইতি নভেম্বরে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের আগেই তৈরি হবে। এখন নারী রিকার্ভে যারা রয়েছে তারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অবস্থানে নেই।’
আর্চারি ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক কোচের সুরেই বললেন, ‘আমাদের কয়েকজন রিকার্ভ নারী আর্চার রয়েছেন। তাদের আরো মান উন্নত করে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রেরণ করতে হবে। এখন পাঠালে সেটা ফেডারেশনের অর্থ ব্যয়ই হবে।’ নারী আর্চার বৃদ্ধিতে ফেডারেশন সামনে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, ‘আমরা নারী আর্চার সংখ্যা বৃদ্ধি করতে সামনে কর্মসূচি গ্রহণ করছি। এতে আশা করি অনেক আর্চার আসবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে গুণগত মানও বাড়বে।’
সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিতব্য এশিয়া কাপ ওয়ার্ল্ড র্যাংকিং টুর্নামেন্টে রিকার্ভ মহিলা দলগত ছাড়া বাকি সব ইভেন্টে বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করবে। এই টুর্নামেন্টের ফলাফল প্রত্যাশা সম্পর্কে কোচ বলেন, ‘সুনির্দিষ্টভাবে স্বর্ণের কথা বলব না। তবে কয়েকটি পোডিয়াম (পদক) আমি প্রত্যাশা করছি।’ মার্টিন ফ্রেডরিক বাংলাদেশ দলের হেড কোচ। আসন্ন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে ফেডারেশন তার পদবি দিয়েছে ম্যানেজার। এর কারণ সম্পর্কে সাধারণ সম্পকে বলেন, ‘তিনি কোচের দায়িত্বই পালন করবেন। কোচ পদ থাকলে তিনি রিকার্ভ কিংবা কম্পাউন্ড স্পেসিফিক দিতে হতো। তখন তিনি এক ইভেন্টে থাকতে পারতেন আরেক ইভেন্টে পারতেন না। ম্যানেজার থাকায় তিনি সব ইভেন্টেই উপস্থিত থাকতে পারবেন।’ মার্টিন ফ্রেডরিকের সহকারী হাসান যাচ্ছেন এবার কোচ হিসেবে। এবার প্রথমবারের মতো নারী কোচ রিনা চাকমা যুক্ত হয়েছে আর্চারি দলের সঙ্গে। রিনার হাত ধরে অনেক আরচ্যার উঠে এসেছে। জাতীয় দলের কোচ করে রিনাকে বিদেশ পাঠিয়ে ফেডারেশন এক প্রকার সম্মানই দিয়েছে।
