যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের নির্দেশক্রমে আজই শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল ক্রীড়াঙ্গণে সংস্কার করার লক্ষ্যে গঠিত সার্চ কমিটির মেয়াদ। কিন্তু সেই সময় বাড়ছে। বিষয়টি নিজেই জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। গতকাল শনিবার টার্কিস এয়ারলাইন্স স্বাধীনতা কাপ ভলিবলে প্রধান অতিথি হিসাবে উদ্বোধনকালে উপদেষ্টা বলেন, ‘ফেডারেশনগুলো নিয়ে কাজ করেছে সার্চ কমিটি। তবে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের ক্রীড়া সংস্থার কাজ বাকি। তাই সার্চ কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারে। যাতে খেলাধূলায় প্রাণ ফেরাতে পারি।’ ক্রীড়াঙ্গণ সংস্কারের জন্য গত বছরের আগস্টের শেষ দিকে পাঁচ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। দীর্ঘ সাড়ে আট মাস পর গঠিত সার্চ কমিটিকে ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনের অ্যাডহক কমিটি গঠনের প্রস্তাব জমা দিতে আজকের মধ্যে (২০ এপ্রিল) শেষ সময় বেঁধে দিয়েছিল যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। গত ২১ মার্চ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ কাবিরুল ইসলাম খানের সই করা চিঠি দেয়া হয়েছিল সার্চ কমিটির প্রধান মো. জোবায়েদুর রহমান রানাকে। তবে চিঠি পাওয়ার পর আরও সময় চেয়ে মন্ত্রণালয়ে ফিরতি চিঠি দিয়েছিলেন সার্চ কমিটির প্রধান। যদিও ৫৩টি ক্রীড়া ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে মাত্র ২৬টি ঘোষণা করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। এখনো বাকি ২৭টি। এখন কি হবে? জোবায়েদুর রহমান রানার কথা, ‘আমাদের দেয়া চিঠিতে জানিয়েছিলাম, মে মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে বাকি ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনগুলোর কমিটির প্রস্তাব জমা দিতে পারব। এরপর বিভাগ ও জেলার কমিটি এবং গঠনতন্ত্র রয়েছে, সেগুলো তৈরি করতে আরো সময় লাগবে। কারণ, সবার সঙ্গে আমাদের বসতে হবে। জেলা ও বিভাগগুলো পরিদর্শন করতে হবে। তবে এক মাসেও সেই চিঠির জবাব আমরা পাইনি। এটা আমরা ক্রীড়া উপদেষ্টাকেও জানিয়েছি।’ তবে অভিযোগে জানা যায়, প্রায় দুই মাস আগে শুটিং, ব্যাডমিন্টন ও তায়কোয়ান্দোর কমিটি মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হলেও রহস্যজনকভাবে সেগুলো ঘোষণা করা হয়নি। এগুলো ঘোষণা করলেই নাকি বাকিগুলো জমা দেবে সার্চ কমিটি।
