সাদা পোশাকের ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। স্বাগতিকদের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে ওপেনিংয়ে নামার চিন্তা করছেন টাইগার দলপতি নাজমুল হোসেন শান্ত। দেশ ছাড়ার আগেও দিয়ে গেছেন সেই আভাস। তবে শান্ত যদি ওপেন করতে নামেন সেটা আদর্শ হবে বলে মনে করেন না সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন। তার মতে শান্ত মূলত চার নম্বরের ব্যাটার। শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার আগে মিরপুরে দুই দিনের অনুশীলন ম্যাচে শান্তকে ওপেন করতে দেখা গেছে। স্কোয়াডে মাত্র দুজন বিশেষজ্ঞ ওপেনার রাখা ও তার ওপেন করতে নামা মিলিয়ে আঁচ পাওয়া যাচ্ছিল ব্যাটিং অর্ডারে বদলের। পরে সংবাদ সম্মেলনে যখন এই প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হয় শান্ত তা উড়িয়ে দেননি, বরং তেমন আভাসই দিয়েছিলেন, ‘এটা আসলে এখানে বলতে চাই না কারণ প্রতিপক্ষ জেনে গেলে অনেক আগে থেকে খোলাসা হয়ে যায় (হাসি)। তবে আমি যেকোনো পজিশনে খেলার জন্য প্রস্তুত আছি এবং আরও টপ অর্ডার ব্যাটার আছে। দেখা যাক।’ জাতীয় দলের নির্বাচকের ভূমিকায় দীর্ঘদিন বাশার স্পষ্টই বলেন এই সিদ্ধান্ত যদি হয় সেটা হবে ভুল, ‘এটা একটা ভুল মুভ হবে। শান্ত ওপেনার না, সে তার ক্যারিয়ার শুরু করেছে চার নম্বরে।’ ‘সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিমের মতন সিনিয়ররা চারে-পাঁচে ব্যাট করাতে শান্তকে তিনে তোলা হয়েছিলো। তিন তাও ঠিকাছে। কিন্তু ওপেনিং একদম আলাদা ব্যাপার।’ টেস্টে কেবল ৬ ইনিংস ওপেন করেন শান্ত। যাতে ১৮.৮৩ গড়ে ১১৩ রান তার, আছে একটাই ফিফটি। তিনে তিনি খেলেছেন সবচেয়ে বেশি ৪৫ ইনিংস। এই পজিশনে ৩৩.২২ গড়ে ১৪৬২ রান করেছেন, সেঞ্চুরি আছে ৫টি, ফিফটিও তিনটি। গত কয়েক টেস্ট ধরে অবশ্য চারে নামছিলেন শান্ত। গুরুত্বপূর্ণ চার নম্বরে ৯ ইনিংস খেলে ২৩ গড়ে ৪০২ রান করেছেন ১ ফিফটিতে। এছাড়া পাঁচে চার ইনিংস ব্যাট করে ৮০ রান আছে শান্তর। তিনে খেলা শান্তকে অনেক সময়ই প্রথম ওভারে নামতে হয়েছে। তবে সেই নামা আর একদম ওপেন করতে নামার যে একটা তফাৎ আছে সেটা বুঝিয়ে দেন বিসিবির গেম ডেভোলাপমেন্টে যুক্ত এই সাবেক অধিনায়ক, ‘আমি তিন নম্বরে খেলতাম, কখনও ইনিংসের দ্বিতীয় বলও ফেস করতে হতো। মানুষজন তফাৎ বুঝত না। কিন্তু যখনই আমি ওপেন করতে গেলাম, পারলাম না। আমি শান্তকে জানি, যদি দলের প্রয়োজন হয় তবে সে ওপেন করবে। কিন্তু এটা ঠিক হবে না। রিকি পন্টিং তিন নম্বরে প্রচুর রান করেছে; কিন্তু কখনও ওপেন করেনি।’ মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস ও জাকের আলি অনিক এই তিনজনকেই একসঙ্গে খেলাতে হবে। তাদের খেলাতে হলে দলের সমন্বয় সাজাতে ওপেনিংয়ে একটা জায়গা ফাঁকা করে শান্তর উপরে উঠার চিন্তা বলে জানা যায়। আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া গল টেস্টে এমনটি দেখা যেতে পারে। তবে অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ যদি জ্বরের কারণে একাদশের বাইরে থাকেন তাহলে বিশেষজ্ঞ দুই ওপেনারকেই একাদশে রাখবে বাংলাদেশ দল।