ঢাকা মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

পিএসজির সামনে দাঁড়াতেই পারল না অ্যাটলেটিকো

পিএসজির সামনে দাঁড়াতেই পারল না অ্যাটলেটিকো

দলের সেরা ফরোয়ার্ড উসমান দেম্বেলের অনুপস্থিতি বুঝতেই দিলেন না তার সতীর্থরা। আক্রমণাত্মক ফুটবলে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে উড়িয়ে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে অভিযান শুরু করল পিএসজি। গত রোববার ক্যালিফোর্নিয়ার রোজ বোলে হাইভোল্টেজ ম্যাচটি ৪-০ গোলে জিতেছে এবারের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ীরা। একবার করে জালে বল পাঠান ফাবিয়ান রুইস, ভিতিনিয়া, সেনি মায়ুলু ও লি কাং-ইন। পুরোনো ও নতুন সংস্করণ মিলিয়ে প্রতিযোগিতাটিতে এবারই প্রথম খেলার সুযোগ পেয়েছে এই দুই ক্লাব।

এছাড়া, এবারই প্রথম এই মঞ্চে মুখোমুখি হলো ইউরোপের দুটি দল।

কিন্তু লড়াইটা একেবারেই জমল না। প্রায় ৭৫ শতাংশ সময় পজেশন রেখে গোলের জন্য ১৬টি শট নিয়ে ১১টি লক্ষ্যে রাখতে পারে পিএসজি। বিপরীতে, অ্যাটলেটিকোর পাঁচ শটের একটিই শুধু লক্ষ্যে ছিল। লুইস এনরিকের হাত ধরে বদলে যাওয়া এবং ইউরোপ সেরার মর্যাদায় খেলতে নামা পিএসজির বিপক্ষে পজেশন রাখতেই লড়াই করতে হয়েছে অ্যাটলেটিকোর। প্রথম ২০ মিনিটে ২০ শতাংশ সময়ও বল পায়ে ছিল না তাদের।

ওই সময়ে এগিয়েও যায় ফরাসি দলটি। ১৯তম মিনিটে পাসিং ফুটবলে শাণানো আক্রমণে, খাভিচা কাভারাৎসখেলিয়ার ব্যাকপাস পেয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে নিচু শটে দলকে এগিয়ে নেন রুইস। পিছিয়ে পড়ার পর বল দখলে রাখায় একটু উন্নতি হয় অ্যাটলেটিকোর, যদিও প্রতিপক্ষের চাপে নিজেদের সীমানা থেকে বের হতেই পারছিল না তারা। ৪৫তম মিনিটে লক্ষ্যে একমাত্র শটটি নিতে পারে দলটি, তবে রদ্রিগো দে পলের সোজাসুজি শট সহজেই গ্লাভসে নেন দোন্নারুম্মা। ওখান থেকে দ্রুত প্রতি-আক্রমণে উঠে ব্যবধান দ্বিগুণ করে পিএসজি। কাভারাৎসখেলিয়ার পাস ধরে ডি-বক্সে ঢুকে জোরাল শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন পর্তুগিজ মিডফিল্ডার ভিতিনিয়া।

দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে ইয়ান ওবলাকের দারুণ এক সেভ অ্যাটলেটিকোকে লড়াইয়ে রাখে। প্রথম দ্ইু গোলে অবদান রাখা জর্জিয়ার ফরোয়ার্ড কাভারাৎসখেলিয়ার জোরাল শট ঝাঁপিয়ে আটকান ওবলাক, বল তার হাতে লেগে ক্রসবারে বাধা পায়। সাত মিনিট পর মাঝমাঠে প্রতিপক্ষের থেকে বল কেড়ে নিয়ে দ্রুত আক্রমণে ওঠে অ্যাটলেটিকো, বল জালেও পাঠান হুলিয়ান আলভারেস। কিন্তু পজেশন নেওয়ার সময় দিজিরে দুয়েকে অ্যাটলেটিকোর কোকে ফাউল করায়, ভিএআরের সাহায্যে গোল দেননি রেফারি।

৭৮তম মিনিটে অ্যাটলেটিকোর ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় বড় চোট লাগে। রেফারির একটি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন দলটির ডিফেন্ডার ক্লেমোঁ লংলে। গত মাসে লা লিগার ইতিহাসে দ্রুততম হ্যাটট্রিকের রেকর্ড গড়া এবং রেয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে ওই ম্যাচে একাই চারটি গোল করা আলেকসান্দার সরলথ এদিনও দলকে পথে ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে ফাঁকা পোস্ট পেয়েও, ছয় গজ বক্সের মুখ থেকে উড়িয়ে মারেন নরওয়ের এই ফরোয়ার্ড। এর পাঁচ মিনিট পর ব্যবধান আরও বাড়িয়ে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন সেনি মায়ুলু। প্রতিপক্ষের ভুলে ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়ে নিচু শটে গোলটি করেন ১৯ বছর বয়সী ফরাসি মিডফিল্ডার। আর যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে সফল স্পট কিকে অ্যাটলেটিকোর কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন দক্ষিণ কোরিয়ার মিডফিল্ডার কাং-ইন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত