ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ব্যাটে-বলে অলরাউন্ড নৈপুণ্য প্রদর্শন করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। একইসঙ্গে পাঁচ উইকেট শিকার এবং সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। ম্যাচ শেষে তার পুরস্কারও পেয়েছেন। সিরিজ সেরার পুরস্কার জয়ী মিরাজের সামনে আরেকটি স্বীকৃতি অর্জনের হাতছানি। প্রথমবারের মতো আইসিসি ‘প্লেয়ার অব দা মান্থে’র সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পেয়েছেন তিনি। তার সঙ্গে সেরা তিনে আছেন নিউজিল্যান্ডের বেন সিয়ার্স ও জিম্বাবুয়ের ব্লেসিং মুজারাবানি।
গতকাল সোমবার আইসিসি পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারদের এপ্রিলের মাস সেরা খেলোয়াড়দের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করেছে। নারী ক্রিকেটারদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেইলি ম্যাথিউস, স্কটল্যান্ডের ক্যাথরিন ব্রাইস ও পাকিস্তানের ফাতিমা সানা।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অর্জনের ঝুলি ‘টইটুম্বুর’ ছিল মিরাজের। সিলেটে ম্যাচ হারলেও মিরাজ দুই ইনিংসে ৫টি করে উইকেট পেয়েছিলেন। ম্যাচে ১০ উইকেট নিজের কাজটা ঠিকটাক করেছিলেন। চট্টগ্রামেও মিরাজ ধরে রেখেছিলেন ছন্দ। ম্যাচে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। বল হাতে নিয়েছিলে ৫ উইকেট। টেস্ট ক্যারিয়ারে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তোলেন মিরাজ। সেঞ্চুরির পথে তুলে নিয়েছিলেন সাদা পোশাকে ২ হাজার রান। ২ হাজার রান ও ২০০ উইকেটের ডাবলে নাম লিখিছেন সাকিবের পর। এছাড়া একই টেস্টে সেঞ্চুরি ও ৫ উইকেট শিকারি বাংলাদেশের তৃতীয় ক্রিকেটার হয়েছিলেন তিনি। আবার সিরিজে সেঞ্চুরি ও ১০ উইকেট নিয়ে টেস্ট ইতিহাসের সপ্তম ক্রিকেটারও হয়েছেন। আলো ছড়িয়ে এবার আইসিসির স্বীকৃতির অপেক্ষায় বাংলাদেশের তারকা।
জিম্বাবুয়ের পেসার ব্লেসিং মুরাজাবানি সিরিজে জিম্বাবুয়ের শীর্ষ উইকেট শিকারি ছিলেন। ২০.৫০ গড়ে নিয়েছেন ১০টি উইকেট। এছাড়া কিউই পেসার বেন সিয়ার্সও দারুণ ফর্মে ছিলেন পাকিস্তানের বিপক্ষে। ওয়ানডেতে ৯.৩০ গড়ে ১০ উইকেট নিয়েছেন। ইকোনমি ছিল ৫.০৭। হয়েছিলেন সিরিজের সেরা খেলোয়াড়।