ঢাকা মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সুযোগ পেয়েও মালদ্বীপকে হারাতে পারল না বাংলাদেশ

সুযোগ পেয়েও মালদ্বীপকে হারাতে পারল না বাংলাদেশ

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের কারণে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছিল অনূর্ধ্ব-১৯ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। তবে সব শঙ্কা দূরে ঠেলে মাঠে গড়িয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার বয়সভিত্তিক এই ফুটবল টুর্নামেন্ট। গতকাল শুক্রবার ভারতের অরুনাচলে গোল্ডেন জুবিলি স্টেডিয়ামে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মালদ্বীপের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। পাহাড়ি এলাকায় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১১ শত ফুট উঁচুতে খেলতে হয়েছে বাংলাদেশকে। প্রথম ম্যাচের একাদশে কোচ ছোটন রাখেননি দুই প্রবাসী ফুটবলার আবদুল কাদির ও ফারজাদ আফতাবকে। তবে তাতে প্রথমার্ধের খেলায় সেভাবে প্রভাব পড়েনি।

তবে ম্যাচের দুই অর্ধে দুই রূপে দেখা গেছে বাংলাদেশের খেলায়াড়দের পারফরম্যান্স। প্রথমার্ধে যতটা গোছাল, আগ্রাসী, দ্বিতীয়ার্ধে ততটাই এলোমেলো, বিবর্ণ। তাতে নাজমুল হুদা ফয়সালের দৃষ্টিনন্দন গোলে ও রিফাত কাজীর লক্ষ্যভেদে মুঠোয় নেয়া ম্যাচের লাগাম বিরতির পর হাতছাড়া হলো। দারুণ জয়ের আশা জাগিয়ে ড্রয়ের হতাশা দিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু করল বাংলাদেশ। ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে ২-২ ড্র করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ দুই গোল পায় প্রথমার্ধে, দ্বিতীয়ার্ধে দুটি ফিরিয়ে দেয় মালদ্বীপ। শুরু থেকেই মালদ্বীপের বিপক্ষে আধিপত্য দেখিয়ে খেলতে শুরু করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় মিনিটে ফ্রি কিকে আশিকুর রহমান পা ঠিকঠাক ছোঁয়াতে পারেননি। ৬ মিনিটে প্রথমে এগিয়ে যেতে পারত বাংলাদেশ। কিন্তু মুরশেদ আলীর কর্ণার থেকে স্যামুয়েল রাকসাম মাথা ছোঁয়াতে পারেনি। দূরের পোস্টে থাকা মিঠু চৌধুরী ও স্যামুয়েল রাকসাম পারেননি দরকারি টোকা দিতে। ফলে ?সুযোগ নষ্ট হয় বাংলাদেশের।

গোলের অপেক্ষা অবশ্য দীর্ঘ হয়নি বাংলাদেশের। দ্বাদশ মিনিটে বক্সে ফাঁকায় থাকা ফয়সাল বক্সের একটু ওপর থেকে নিখুঁত শটে লক্ষ্যভেদ করেন। ঝাঁপিয়েও বলের নাগাল পাননি মালদ্বীপ গোলরক্ষক। একটু পর বক্সের ভেতর থেকে রিফাতের হেড ওপরের জাল কাঁপায়। ১৯তম মিনিটে তার আরেকটি হেডও যায় পোস্টের অনেক বাইরে দিয়ে। ২৫তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণের সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট হয় বাংলাদেশের। ফয়সালের রক্ষণ চেরা পাস ধরে বক্সে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোলরক্ষককে একা পেয়েছিলেন রিফাত, কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে তিনি শট নেন পোস্টের বাইরে! রাজ্যের হতাশায় মুখ ঢাকেন রিফাত।

৪৩তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে রিফাতে শট এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে দিক পাল্টে পোস্ট ঘেঁষে বাইরে যায়। তবে পরের মিনিটেই ‘শাপমোচন’ করেন রিফাত; মিঠুর চিপ গোলমুখ থেকে টোকায় জালে জড়িয়ে দেন। ব্যবধান দ্বিগুণের আনন্দ নিয়ে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। খেলার ধারার বিপরীতে ৫৬তম মিনিটে ঘুরে দাঁড়ায় মালদ্বীপ। বাম দিক থেকে আসা ক্রস পা বাড়িয়েও আটকাতে পারেননি পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসা ইসমাইল হোসেন মাহিন। ফাঁকা পোস্টে স্লাইডে বল জড়িয়ে দেন বদলি নামা আনুফ আব্দুল্লাহ। এই গোল হজমের পর বাংলাদেশ হয়ে পড়ে দিশাহীন। ৭৩তম মিনিটে অধিনায়ক আহজাম রাশেদের রক্ষণ চেরা পাস ধরে বক্সের ঠিক উপর থেকে বাম পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন ইথান জাকি। সমতায় ফেরে মালদ্বীপ। বাকিটা সময়েও বিবর্ণতার খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসতে পারেনি বাংলাদেশ। ছয় মিনিটের যোগ করা সময়ে কর্নার পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেননি আশিক-রিফাতরা। বরং এই কর্নার থেকেই পাল্টা আক্রমণে বক্সে ঢুকে পড়েন মালদ্বীপের আসাম ইব্রাহিম, রক্ষণের প্রতিরোধে বেঁচে যায় বাংলাদেশ। রোববার গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে ভুটানের মুখোমুখি হবে এই প্রতিযোগিতার শিরোপাধারী বাংলাদেশ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত