দীর্ঘ সময়ে কয়েক দফা বাজেট বাড়িয়ে বিপুল ব্যায়ে সংস্কারে নতুন রুপে সেজেছে জাতীয় স্টেডিয়াম। বাংলাদেশ বনাম সিঙ্গাপুরের ম্যাচ দিয়ে আবারও খেলায় ফিরছে দেশের অন্যতম সেরা এই ভেন্যু। অবশ্য তার আগে ভুটানের বিপক্ষে নিজেদের শক্তির পরীক্ষা নিবে লাল সবুজের ফুটবলাররা। সেই ম্যাচ দিয়ে ঘরের মাঠে অভিষেক হতে যাচ্ছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ খেলা এই তারকার। এ ম্যাচ সামনে রেখে গতকাল সোমবার ঢাকায় ফিরেছেন হামজা চৌধুরী। সকাল সাড়ে ১০টায় হামজার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা ছিল। তবে ফ্লাইট বিলম্ব হওয়ায় ১০টা ৫৫ মিনিটে অবতরণ তিনি। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি টিম হোটেলে উঠেছেন গত মৌসুমে শেফিল্ড ইউনাইটেডে ধারে খেলা এই ফুটবলার। তাকে অভ্যর্থনা জানাতে জাতীয় দলের ম্যানেজার ইকবাল হোসেন ছিলেন বিমানবন্দরে। সঙ্গে ছিলেন হামজার বাবা ও মা। বাফুফের কর্মকর্তা ইমতিয়াজ সবুজ ও সাখাওয়াত হোসেন শাহীন। তাদের সঙ্গে নিয়ে সেখান থেকে সোজা ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে চলে যায় হামজাদের বহনকারী প্রাইভেট কার। দুই মাস পর দেশে ফিরেছেন হামজা। মুখে দেখা গেছে চিরচেনা হাসি। বিমানবন্দরে হামজা অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি। পরে টিম হোটেলে ফেরার পর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) হামজার প্রতিক্রিয়া নিয়ে ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানে ভুটান ও সিঙ্গাপুর ম্যাচ নিয়ে হামজা বলেন, ‘দলের সঙ্গে দেখা করতে এবং দুটি বড় ম্যাচের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছি। ইনশাআল্লাহ, আমরা সফল হবো। যাঁরা আমাদের সমর্থন করবেন আশা করি তাদের সবার সঙ্গে দেখা হবে।’ হোটেলে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে অনুশীলনে নেমে পড়েছেন হামজা চৌধুরী। অনুশীলনের জন্য বিকাল পাঁচটায় জাতীয় স্টেডিয়ামে যান হামজা। সেখানে ফুটবলপ্রেমীরা হামজাকে এক নজর দেখার জন্য স্টেডিয়ামের বাসের সামনে ভিড় করলেও নিরাশ হতে হয়েছে নিরাপত্তা বলয়ের জন্য। বাংলাদেশের হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এই প্রথম জাতীয় স্টেডিয়ামে পা পড়ল হামজার।