বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ক্রিকেট কাঠামো বদলের নানা রকম উদ্যোগ নিয়েছেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। সেই ধারাবাহিকতায় গতকাল সোমবার মিরপুরে স্থানীয় কোচদের সঙ্গে বসেছিলেন তিনি। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়াম সংলগ্ন বিসিবি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় কোচ-কর্মকর্তাদের বৈঠক। বিসিবির বেতনভুক্ত ৮-১০ জন কোচ উপস্থিত ছিলেন সেখানে। জাতীয় দলের সঙ্গে শ্রীলঙ্কায় অবস্থান করায় ছিলেন না ব্যাটিং কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। বৈঠকে বিসিবি সভাপতি বুলবুল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম এবং বিপিএলের চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম। হুট করেই আম্পায়ারদের সঙ্গে বিসিবি কর্তাদের সভাকে ঘিরে বেশ কৌতূহল তৈরি হয়েছে। যদিও বৈঠকে উপস্থিত থাকা কোচ মিজানুর রহমান বাবলু জানিয়েছেন, গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় কোচ মিজানুর রহমান বাবলু গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘ঠিক মিটিং না, এটা মতবিনিময় সভার মত আর কি... আমরা দেশি কোচ ৮ থেকে ১০ জনের মতো উপস্থিত ছিলাম। সেখানে মেইনলি এইচপি বা টাইগার্সের যে সকল কোচ বা ফিজিও আছেন তারা উপস্থিত ছিলেন।’ বাবুল আরও বলেছেন, ‘বিসিবি সভাপতির অনেকের সঙ্গে অনেকদিন দেখা হয় না, সেটার জন্য বসেছিলেন। এতদিন আইসিসি তে কাজ করেছিলেন সেটাই আমাদের সঙ্গে শেয়ার করছিলেন। কীভাবে কাজ করেছিলেন, কোন স্টাইলে কাজ করেছিলেন। কীভাবে আরও উন্নতি করা যায় সে বিষয়ে বলছিলেন।
এছাড়া আর কিছু না বেসিক কথা বার্তা।’ বৈঠকে বিসিবির দীর্ঘমেয়াদী পারফরম্যান্স ভিশন নিয়ে আলোচনায় উঠে আসে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়-তরুণ প্রতিভা খুঁজে বের করা ও তাদের গড়ে তোলার কৌশল, নির্দিষ্ট ও পরিমাপযোগ্য লক্ষ্য নির্ধারণ, উন্নয়নমূলক পারফরম্যান্স প্রোগ্রাম তৈরি ও বাস্তবায়ন এবং ধারাবাহিক উন্নয়নের জন্য বিশ্লেষণভিত্তিক গবেষণা ও প্রতিক্রিয়ার গুরুত্ব।
বিসিবির পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি সভাপতি বলেছেন, ‘ভবিষ্যতের ক্রিকেট শক্তির ভিত্তি নির্ভর করছে- আমরা কতটা সমন্বিতভাবে প্রতিভা গড়ার কাজ করতে পারি তার ওপর। আজকের সভা ছিল এই সমন্বয় এবং দক্ষতা বৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।