
ক্লিন অ্যান্ড জার্কে প্রথমবার ২১৮ কেজি তুলতে ব্যর্থ হলেন। কিন্তু দ্বিতীয়বারেই লক্ষ্যে পৌঁছে গেলেন। চিৎকার দিয়ে নিজের লক্ষ্য পূরণের উদযাপন করলেন স্বর্ণকণ্যা মাবিয়া আক্তার। দৌড়ে এগিয়ে গেলেন ভারোত্তোলন ফেডারেশনের সভাপতি উইং কমান্ডার (অব.) মহিউদ্দিন আহমেদের কাছে। পায়ে হাত দিয়ে সালাম করলেন। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে নতুন রেকর্ড গড়ে এভাবেই উদযাপন করলেন। দিনকে দিন নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে টানা দুই স্বর্ণজয়ী মাবিয়া আক্তার। লক্ষ্য আসন্ন পাকিস্তান এসএ গেমসে স্বর্ণপদক অক্ষুণ্ণ রাখা। তাহলেই টানা তিন গেমসে স্বর্ণজয়ের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করবেন মাবিয়া। সে লক্ষ্যে এবার জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপেও রেকর্ড গড়েছেন সোনাজয়ী এই ভারোত্তোলক।
গতকাল বুধবার ক্যাপ্টেন (অব.) এম মনসুর আলী জাতীয় হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত জাতীয় সিনিয়র ভারোত্তোলন প্রতিযোগিতায় ৬৯ কেজি ওজন শ্রেণিতে ২১০ কেজি ভার উঠিয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছেন মাবিয়া। এই রেকর্ড গড়ে সেরা নারী ভারোত্তোলকের পুরস্কারও উঠেছে তার হাতে। ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১১৮ কেজি এবং স্ন্যাচে ৯২ কেজি তুলেছেন। দুটি মিলিয়ে তিনি মোট ২১০ কেজি তুলেছেন। যা দেশের নারী ভারোত্তোলনে নতুন রেকর্ড হয়েছে।
রকর্ড গড়ে মাবিয়া বলেন, ‘যারা বলে আমি ফুরিয়ে গেছি, তাদের দেখিয়ে দিলাম। আমি আরও এগোতে চাই। এমন রেকর্ড গড়তে চাই, যেন মানুষ আমাকে অনেক দিন মনে রাখে।’ তিনি বলেন, ‘আজ যে ভার তুলেছি, এটা আমার ক্যারিয়ার এবং বাংলাদেশেরও সেরা। এর আগে আমি ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১১৬ আর স্ন্যাচে ৮৯ কেজি ওজন তুলেছিলাম। আজ সব মিলিয়ে পাঁচ কেজি বৃদ্ধি হয়েছে।’ ২০১৬ ও ২০১৯ এরপর জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় এসএ গেমসে হ্যাটট্রিক স্বর্ণজয়ের মুখে মাবিয়া-এমনটাই জানালেন মহিউদ্দিন আহমেদ। তার কথা, ‘আন্তর্জাতিক ভারোত্তোলন ফেডারেশন মেয়েদের বিভাগে ৬৯ কেজি ওজন শ্রেণি এবারই প্রবর্তন করেছে। আর এই ওজন শ্রেণিতে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে নেমেই রেকর্ড গড়েছে মাবিয়া। আশাকরি হ্যাটট্রিক স্বর্ণজয়ের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে সে।’ মাবিয়া এই বছরের শুরুতে ভারত্তোলক সাকায়েত হোসেনকে বিয়ে করে নতুন জীবন শুরু করেছেন। ঘর-সংসার করে নিজের পারফরম্যান্সের গ্রাফ এগিয়ে নেওয়ার ব্যাখ্যা দিলেন এভাবে, ‘আমার স্বামীও একজন ভারোত্তোলক। তার ও পরিবারের সহায়তা পাচ্ছি অনেক। সে জন্য এমন রেকর্ড করতে পেরেছি।’