
ব্যালন ডি’অর ঘোষণার আগে থেকেই তুমুল আলোচনায় ছিলেন লামিনে ইয়ামাল এবং উসমান ডেম্বেলে। অনেকেই ডেম্বেলের চেয়ে ইয়ামালকেই ব্যালন ডি’অর জয়ী হিসেবে ধরে রেখেছিলেন; কিন্তু পুরস্কার ঘোষণার পর তাদের সেই ধারণা পাল্টে গেলো। যারা বিশ্বাস করতো, ইয়ামালই ব্যালন ডি’অর জিতবেন- সেই দলে ছিলেন লা লিগা সভাপতি হ্যাভিয়ের তেবাস। ইয়ামাল ব্যালন ডি’অর জিততে পারেননি কেবল বয়স কম হওয়ার কারণে। তবে তেবাস নিশ্চিত, খুব শিগগিরই এই পুরস্কার উঠবে ইয়ামালের হাতেই। ১৮ বছরে পা দেওয়া ইয়ামাল এ বছর ব্যালন ডি’অরে দ্বিতীয় হয়েছেন। শিরোপা জিতেছেন প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) তারকা উসমান দেম্বেলে।
যদিও ব্যালন ডি’অর জেতা হয়নি, ইতিহাস গড়েছেন ইয়ামাল কোপা ট্রফি জিতে। ২১ বছরের নিচের সেরা খেলোয়াড়ের এই পুরস্কার একাধিকবার জেতা একমাত্র ফুটবলার এখন তিনি। হ্যাভিয়ের তেবাস বলেন, ‘যদি তার বয়স ২৩ বছরের বেশি হতো, তবে নিশ্চিতভাবেই ব্যালন ডি’অরও সে জিততো। কিন্তু বয়স কম হওয়ায় তাকে কোপা ট্রফি দেওয়া হয়েছে।’ অন্যদিকে বার্সেলোনা সভাপতি হুয়ান লাপোর্তার মতে, ব্যালন ডি’অরের লড়াইয়ে মূল পার্থক্য গড়েছে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। দেম্বেলে গত মৌসুমে ৫৩ ম্যাচে ৩৫ গোল করে পিএসজিকে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জিতিয়েছেন। পাশাপাশি ঘরোয়া লিগ এবং লিগ কাপও জিতেছে দলটি।
ইয়ামালও কম যাননি— ৫৫ ম্যাচে ১৮ গোল করে বার্সেলোনাকে লা লিগা, স্প্যানিশ সুপারকোপা ও কোপা দেল রে জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালে ইন্টার মিলানের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় কাতালানদের। ১৬ বছর বয়সে বার্সার হয়ে অভিষেকের পর থেকেই একের পর এক রেকর্ড ভাঙছেন ইয়ামাল। লা লিগার ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে গোলদাতা, ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে খেলা সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার সবই তার নামের পাশে। এছাড়া ২০২৪ ইউরো জিতে সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কারও উঠেছিল তার হাতে। তেবাস দৃঢ় আশাবাদী, ‘যদি ইয়ামাল এই ফর্ম ধরে রাখতে পারে, তবে সন্দেহ নেই খুব শিগগিরই সে ব্যালন ডি’অর জিতবে।’