
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের জিমন্যাশিয়ামে নেই কোনো বাতাস নিস্কাশনের ব্যবস্থা। নেই শীতাতাপ নিয়ন্ত্রন যন্ত্র। বদ্ধ ঘরে গরমের মধ্যে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে গিয়ে গলদঘর্ম দেখা গেছে জিমন্যাস্টদের। নেই পর্যাপ্ত ফ্যাসিলিটি। শিশু-কিশোরদের এহের অবস্থা দেখে দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের আশ্বাসদেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। গতকাল শুক্রবার আন্তঃস্কুল জিমন্যাস্টিক্সের শেষ দিনে পুরস্কার দিতে এসে তিনি বলেন, ‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পুরাতন এই ভবন ভেঙে নতুন মাল্টিপারপাস সেন্টার করার পরিকল্পনা করেছে সরকার। যেখানে জিমনাস্টিকসসহ অন্যান্য ইনডোর গেমসগুলো আধুনিক সুযোগ সুবিধাসহ স্থানান্তর করা হবে।’
এ সময় জিমন্যাস্টিক ফেডারেশনের সভাপতি সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া সচিব মো. মাহবুব উল আলম এবং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান।
পরে সম্প্রতি সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত সিঙ্গাপুর ওপেনে পদক বিজয়ী জিমন্যাস্টদের হাতে দুই লাখ টাকার আর্থিক পুরস্কারের চেক তুলে দেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। দেশের বিভিন্ন জেলার ৬৫টি স্কুল ও মাদ্রাসা নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে আন্তঃস্কুল জিমনাস্টিকস প্রতিযোগিতা। ২৬টি ইভেন্টে অংশ নেন ২১২ জন প্রতিযোগী। তারুণ্যের উৎসব আয়োজনের অংশ হিসেবে দ্বিতীয় বারের মতো এই আয়োজন করে বাংলাদেশ জিমনাস্টিক্স ফেডারেশন। এতে বান্দরবানের লামার কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের খুদে জিমন্যাস্টরা সর্বাধিক পদক জিতে নেন।