
জিনেদিন জিদান আলজেরিয়ান বংশোদ্ভূত হলেও ছিলেন ফরাসি কিংবদন্তি। ১৯৯৮ সালে ফ্রান্সকে জেতান ফুটবল বিশ্বকাপ। তার ছেলে লুকা জিদান অবশ্য ডাক পেয়েছেন আলজেরিয়ার জাতীয় ফুটবল দলে। চলতি মাসে ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইয়ে সোমালিয়া ও উগান্ডার বিপক্ষে খেলতে দেখা যাবে তাকে। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোয় আগামী বছর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জনের খুব কাছাকাছি আছে আলজেরিয়া। ২৭ বছর বয়সী গোলরক্ষক লুকা ফ্রান্সের বয়সভিত্তিক দলে খেললেও কখনো সিনিয়র দলে সুযোগ পাননি। ২০১৮ সালে ফ্রান্সের অনূর্ধ্ব-২০ দলে খেললেও জাতীয় দলে ডাক পাননি। বাবার পারিবারিক সূত্রে আলজেরিয়ার হয়ে খেলার যোগ্যতা রাখেন লুকা। তাঁর জন্ম ফ্রান্সের মার্শেইয়ে হলেও রয়েছে আলজেরিয়ার নাগরিকত্বও। লুকার বাবা জিদান আলজেরিয়ান বংশোদ্ভূত। দাদা ইসমাইল ও দাদি মালিকা ছিলেন আলজেরিয়ান।
দুই সপ্তাহ আগে ফিফা লুকার জাতীয় দল পরিবর্তনের অনুমোদন দেয়। জিদান রিয়াল মাদ্রিদের কোচ থাকাকালীন সেখানেও খেলেছেন লুকা। রিয়াল মাদ্রিদের একাডেমিতে তাঁর ফুটবল ক্যারিয়ারের শুরু। পরে খেলেছেন স্পেনের রেসিং সান্তানদের, রায়ো ভায়েকানো ও এসডি এইবারে। বর্তমানে খেলছেন স্পেনের দ্বিতীয় বিভাগের ক্লাব গ্রানাদায়। আলজেরিয়ার কোচ ভ্লাদিমির পেতকোভিচ ২৬ সদস্যের স্কোয়াডে রেখেছেন লুকাকে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ৯ অক্টোবর সোমালিয়ার বিপক্ষে খেলবে আলজেরিয়া।
এর পাঁচ দিন পর উগান্ডার বিপক্ষে খেলবে দলটি। আফ্রিকান অঞ্চলের বাছাইয়ে ‘জি’ গ্রুপের শীর্ষে আলজেরিয়া। ৮ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ১৯ পয়েন্ট। দুইয়ে থাকা উগান্ডার চেয়ে তারা এগিয়ে ৪ পয়েন্ট ব্যবধানে। নিজেদের শেষ দুই ম্যাচের যেকোনো একটি জিতলেই বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত হবে আলজেরিয়ার। ছেলেদের বিশ্বকাপে এর আগে চারবার খেলেছে আলজেরিয়া।
সর্বশেষ ২০১৪ বিশ্বকাপে শেষ ষোলোয় উঠেছিল দলটি। লুকার বাবা ফরাসি কিংবদন্তি জিনেদিন জিদান ফ্রান্সের হয়ে তিনটি বিশ্বকাপ খেলেছেন। ১৯৯৮ সালে ঘরের মাঠে শিরোপা জিতেছিলেন। ২০০৬ সালের ফাইনালে হেরেছিলেন ইতালির কাছে। সে ম্যাচে অতিরিক্ত সময়ে ইতালির ডিফেন্ডার মার্কো মাতেরাজ্জিকে মাথা দিয়ে আঘাত করে লাল কার্ড দেখে বিশ্বকাপের ইতিহাসে অন্যতম স্মরণীয় ঘটনার জন্ম দিয়েছিলেন জিদান।