ঢাকা রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

গোল্ডেন বুটে মেসির ইতিহাস

গোল্ডেন বুটে মেসির ইতিহাস

লিওনেল মেসি মাঠে নামা মানেই নিত্যনতুন রেকর্ড গড়ার হাতছানি। ঊনচল্লিশে এসেও বিশ্বকে পায়ের জাদুতে মাতুয়ারা করে রেখেছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। হোক সেটা জাতীয় দলে কিম্বা ক্লাবে। ২০০৫ সালে অভিষেকের পর জাতীয় দলের আক্রমণ কিংবা নেতৃত্ব প্রদান নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন মেসি। তিনি দেশকে বিশ্বকাপ ও কোপা শিরোপা জয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন, এবার আন্তর্জাতিক ফুটবলে গোলে সবচেয়ে বেশি অ্যাসিস্টের রেকর্ড গড়লেন। এর মধ্য দিয়ে নিজের মহিমা ও শ্রেষ্ঠত্ব সুসংহত করলেন তিনি। মেসির সমসাময়িক অনেকেই অবসর নিয়েছেন, আর তিনি এখনও সগৌরবে ছুটছেন তার মেধা, ফিটনেস আর নেতৃত্বগুণ দিয়ে। কেউ তাকে এভাবে সংজ্ঞায়িত করতে পারেন: মেসি রেকর্ডের পিছে ছোটেন না, রেকর্ডই মেসিকে তাড়া করে। ঠিক তাই।

যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের নিয়মিত মৌসুমের শেষ দিন, বলা হয় ‘ডিসিশান ডে।’ গোটা মৌসুম রাজত্ব করেছেন যিনি, ভাগ্য নির্ধারণী দিনে তিনি তো আর মিইয়ে থাকতে পারেন না! হ্যাটট্রিক করেই নিজের শ্রেষ্ঠত্বের জানান দিলেন লিওনেল মেসি। নিশ্চিত করে ফেললেন গোল্ডেন বুট পুরস্কার জয় করাও। এই লিগের ইতিহাসে অনন্য এক কীর্তি গড়াও এখন বলা যায় তার জন্য স্রেফ সময়ের ব্যাপার। লিগের নিয়মিত মৌসুমের শেষ দিনে ন্যাশভিল এসসিকে তাদের মাঠেই ৫-২ গোলে হারায় ইন্টার মায়ামি। তিন গোল করে ২৮ ম্যাচে ২৯ গোল নিয়ে নিয়মিত মৌসুম শেষ করলেন মেসি। গোলের তালিকায় তার ধারেকাছে নেই কেউ। ২৪ গোল করে যৌথভাবে দুইয়ে ন্যাশভিলের স্যাম সারিজ ও লস অ্যাঞ্জেলস এফসির ডেনিস বুয়াঙ্গা।

তিন গোলের পাশাপাশি একটি গোল বানিয়েও দেন মেসি। ১৯টি গোলে সহায়তা করে অ্যাসিস্টের তালিকাতেও তিনি লিগে সবার ওপরে। গোল ও অ্যাসিস্টের এই যুগলবন্দিতে মৌসুমের সেরা ফুটবলার বা ‘মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার (এমভিপি)’ পুরস্কারও তিনিই জিতে নেবেন নিশ্চিতভাবে। যেদিন আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে, তার নাম খোদাই হয়ে যাবে মেজর লিগ সকারের ইতিহাসে। গত মৌসুমেও এমভিপি জিতেছিলেন তিনি। লিগের ইতিহাসে আর কোনো ফুটবলার টানা দুই মৌসুমে সেরা হতে পারেননি। শেষ দিনে মেসির তিন গোলে পয়েন্ট তালিকার তিন নম্বরে থেকে নিয়মিত মৌসুম শেষ করেছে মায়ামি। প্লে-অফে ঘরের মাঠে খেলার সুবিধা তারা পাবে। ছয় নম্বরে শেষ করা ন্যাশভিলের সঙ্গেই প্লে-অফের প্রথম রাউন্ডে লড়বেন মেসিরা। ন্যাশভিলের মাঠে বাংলাদেশ সময় রোববার সকালে প্রথম আধ ঘণ্টায় খুব সুবিধে করতে পারেননি মায়ামি। বরং গোল হজম করা থেকে তারা রক্ষা পায় দুই-তিন দফায়। তবে ৩৪তম মিনিটে তারা এগিয়ে যায় মেসির জাদুতে।

জর্দি আলবার ক্রস থেকে উড়ে আসা বল বুক নিয়ে রিসিভ করেন তিনি। বল শূন্যে থাকা অবস্থায়ই প্রতিপক্ষের একজনকে বিভ্রান্ত করে দ্রুত গতিতে ছুটে যান বক্সের দিকে। আরেকজনকে কাটিয়ে চোখের পলকে বাঁকানো শট নেন বক্সের বাইরে থেকেই। গোলকিপার ডাইভ দিয়েও রক্ষা করতে পারেননি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত