বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদকে অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব (যুগ্ম সচিব) মো: আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সরকারি চিঠিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, বিসিবির গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ ১৩.২(খ)(৪) অনুযায়ী এবং চলমান অনাস্থা পরিস্থিতি ও স্বাধীন তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এর আগে, বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে চিঠি দিয়েছেন বিসিবির আট পরিচালক।
পরিচালকরা হলেন নাজমুল আবেদিন ফাহিম, মাহবুব আনাম, ফাহিম সিনহা, স্বপন চৌধুরি, ইফতেখার রহমান মিঠু, কাজী ইনাম আহমেদ, মঞ্জুর আলম ও মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। তবে তালিকায় নেই আকরাম খানের নাম।
চিঠিতে তার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, স্বজনপ্রীতি, অনিয়মসহ নানা অভিযোগ তুলে তাকে সভাপতির দায়িত্ব তো বটেই, পরিচালকের দায়িত্ব থেকে অপসারণের দাবিও জানান পরিচালকরা।
এরও আগে, দিনভর তার পদত্যাগের গুঞ্জনের মাঝেই বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিকেলে পদত্যাগ না করার সিদ্ধান্ত জানান ফারুক আহমেদ। তিনি বলেন, ‘পদত্যাগ করব না আমি, কোনো কারণ নেই। কেউ কোনো কারণ দেখাতেও পারেনি।’
এর কিছুক্ষণ পরেই আট পরিচালকের অনাস্থার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
ফলে এখন ফারুক পদত্যাগ না করলেও আর বিসিবিতে থাকতে পারবেন না। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তার পরিচালক পদ বাতিল হয়ে যাবে।
বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে ফারুক আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘চিঠিটি আমি দেখেছি। এ ব্যাপারে আমি এখন কোনো মন্তব্য করবো না। আগামীকাল আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবো।’ এখনো সভাপতি আছেন কি না, এ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সবকিছু তো আসলে নিয়ম অনুযায়ী হতে হবে। তবে আমি এখনো পদত্যাগ করিনি।’