ঢাকা বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

যমুনায় পানি কমতে থাকায়

সিরাজগঞ্জে ভাঙ্গনে ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হতাশাগ্রস্থ বহু পরিবার

সিরাজগঞ্জে ভাঙ্গনে ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হতাশাগ্রস্থ বহু পরিবার

সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর পানি কমতে থাকায় বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই বহু বসতবাড়ি ও ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এ ভাঙ্গনে এখন হতাশাগ্রস্থ যমুনা পাড়ের বহু পরিবার। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন ধরে দফায় দফায় বর্ষণ হলেও যমুনার পানি কমতে শুরু করেছে। এ বর্ষণজনিত কারণেই ভাঙ্গনের তীব্রতাও বাড়ছে।

যমুনার তীরবর্তী বেলকুচি, কাজিপুর, শাহজাদপুর, চৌহালী ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। বিশেষ করে শাহজাদপুর. কাজিপুর ও চৌহালী উপজেলার সোনাতনি চর, ধিতপুর, বারপাকিয়া, চরঠুটিয়া, নাটোয়ারপাড়া, তেকানি, নিশ্চিন্তপুর, কুড়াগাছা, ফেকশনপাড়া, চালাহারা, তেঘরি, উত্তর তেঘরি ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ভাটপিয়ারি চর, মেছড়া চর, গোটিয়ার চরসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলে ভাঙ্গন এখন তীব্র আকার ধারণ করছে। এ ভাঙ্গনে ইতিমধ্যেই চরাঞ্চলের আঁখ পাট ও বাদামসহ বহু ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকেরা জানান, প্রতিবছরই চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে এ ভাঙ্গন দেখা দেয়। এবার ভাঙ্গনে বসতবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বহু ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে। তবে কয়েকদিন ধরে যমুনা নদীর পানি কমলেও দফায় দফায় বর্ষণে এ ভাঙ্গনের তীব্রতা বাড়ছে এবং চৌহালী উপজেলার স্থল ইউনিয়নের অনেক স্থানে তীব্র আকারে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় তেমন খোঁজ খবর নিচ্ছে না।

এ কারণে বহু পরিবার অনত্রও আশ্রয় নিচ্ছে এবং ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক কর্মকর্তা বলেছেন, ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর মধ্যে ঢেউটিন বিতরণসহ অনান্য সহযোগীতার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাজমুল হোসাইন আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, কয়েকদিন ধরে যমুনায় পানি কমছে। তবে দফায় দফায় বর্ষণজনিত কারণে অনেক স্থানে ভাঙ্গনের খবর জেনেছি। ইতিমধ্যেই ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

হতাশাগ্রস্থ,নদী
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত