অনলাইন সংস্করণ
২০:০২, ২১ জুলাই, ২০২৫
ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় নিজের শরীর ঝলসে গেলেও শিশুশিক্ষার্থীদের বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন শিক্ষিকা মাহরিন চৌধুরী (৪২)। এখন তিনি মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে। তার শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে।
সোমবার দুপুরে ঢাকার উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান। মুহূর্তেই আগুন ধরে যায় ভবনে। ওই সময় গেটের কাছে স্কুল থেকে বের হচ্ছিলেন কো-অর্ডিনেটর মাহরিন। আগুনে দগ্ধ হলেও তিনি বাচ্চাদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে সচেষ্ট ছিলেন।
মাহরিনের স্বামী মনসুর হেলাল জানান, ‘ওর পা থেকে মাথা পর্যন্ত সব পুড়ে গেছে। আমার মনে হয় ১০০ শতাংশ দগ্ধ। তবু লাইফ সাপোর্টে নেওয়ার আগে সে আমাকে বলেছে— ও বের হচ্ছিল স্কুল ছুটি শেষে, তখনই বিমানটি পড়ে। ও নিজে দগ্ধ হয়েও বাচ্চাদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছে।’
বর্তমানে মাহরিন চৌধুরী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জাতীয় বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। তার জন্য বার্ন ইউনিটের সামনে প্রার্থনায় দাঁড়িয়ে আছেন স্বজন, সহকর্মী, ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকেরা।
মাইলস্টোন স্কুলের শিক্ষক ও অভিভাবকরা বলেন, মাহরিন ছিলেন শিশুদের অত্যন্ত প্রিয় মুখ। তাঁর সাহস ও দায়িত্ববোধে আমরা গর্বিত, পাশাপাশি গভীরভাবে শোকাহত।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত শিশুসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।