অনলাইন সংস্করণ
২১:২২, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
নতুন এক জরিপে দেখা গেছে, স্থানীয় পর্যায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কার্যক্রমে সন্তুষ্ট ৩০ দশমিক ৪ শতাংশ ভোটার। অন্যদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও বিএনপির ক্ষেত্রে এই সন্তুষ্টির হার যথাক্রমে ২৩ দশমিক ৭ ও ২১ শতাংশ।
‘জনগণের নির্বাচন ভাবনা’ শীর্ষক দ্বিতীয় দফার দ্বিতীয় পর্বের এই জরিপ পরিচালনা করেছে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইনোভিশন কনসাল্টিং। গবেষণায় সহযোগিতা করেছে বেসরকারি সংস্থা ব্রেইন ও ভয়েস ফর রিফর্ম।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিডিবিএল ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ইনোভিশন কনসাল্টিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রুবাইয়াত সারওয়ার জরিপের ফলাফল প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন ভয়েস ফর রিফর্মের সহ–আহ্বায়ক ফাহিম মাশরুর।
জরিপটি পরিচালিত হয় গত ২ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, যেখানে অংশ নেন ১০ হাজার ৪১৩ জন ভোটার। এর মধ্যে ৫ হাজার ৬৩৯ জন পুরুষ ও ৪ হাজার ৭১৯ জন নারী।
ফলাফলে দেখা যায়, জামায়াতের কার্যক্রমে ‘পুরোপুরি সন্তুষ্ট’ ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ‘অনেক সন্তুষ্ট’ ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ ভোটার। এনসিপির ক্ষেত্রে ‘পুরোপুরি সন্তুষ্ট’ ৯ দশমিক ১ শতাংশ এবং ‘অনেক সন্তুষ্ট’ ১৩ দশমিক ৮ শতাংশ।
অন্যদিকে বিএনপির কার্যক্রমে ‘পুরোপুরি সন্তুষ্ট’ ৮ দশমিক ২ শতাংশ এবং ‘অনেক সন্তুষ্ট’ ১২ দশমিক ৮ শতাংশ ভোটার। এছাড়া ‘মোটামুটি সন্তুষ্ট’ ভোটারের হার জামায়াতের ক্ষেত্রে ১৭ শতাংশ, বিএনপির ১৮ দশমিক ৪ শতাংশ এবং এনসিপির ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ‘একদমই সন্তুষ্ট নন’ এমন ভোটারের হার জামায়াতের ক্ষেত্রে ১৯ দশমিক ৭ শতাংশ, বিএনপির ২৭ শতাংশ এবং এনসিপির ১৭ শতাংশ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।