কক্সবাজারের চকরিয়ায় মোহাম্মদ ইব্রাহিম নামে এক কলেজ শিক্ষকের ৪৮বছরের ভোগদখলীয় পৈত্রিক জমি জবরদখলে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১টার দিকে উপজেলার ফাঁশিয়াখালী ইউনিয়নের ছড়ারকুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জমির মালিক মোহাম্মদ ইব্রাহিম পেকুয়া শহীদ জিয়াউর রহমান বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের সহকারি অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
অধ্যাপক মোহাম্মদ ইব্রাহিম অভিযোগ করে বলেন, চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ছড়ারকুল এলাকায় আমার বাবা মরহুম আহমদ হোছাইন ১৯৭৭ ও ১৯৮৩সালে তিনটি রেজিস্ট্রিকৃত দলিলমূলে মোহাম্মদ পেটানোর কাছ থেকে ৮০শতক জমি ক্রয় করেন। পরবর্তীতে ওই জমি দীর্ঘ ৪৮বছর ধরে আমার পরিবারের ভোগ দখলে রয়েছে। কিন্তু মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী ভূমিদস্যুচক্র দলবল নিয়ে আমাদের চাষাবাদকৃত জমি জবর দখলে নিয়ে সেখানে পাকা দেয়াল নির্মাণ শুরু করে। বর্তমানে দখলবাজদের হুমকি-ধমকিতে আমার জমির বর্গাচাষীও জমিতে চাষ করতে যেতে পারছেন না।
অধ্যাপক মোহাম্মদ ইব্রাহিম আরও বলেন, ‘সম্প্রতি একটি ভূমিদস্যু চক্রের প্ররোচনা ও সহায়তায় স্থানীয় মোহাম্মদ পেটানোর দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান নুরুল আলম আমাদের কাছ থেকে জমি পাবে বলে দাবি তুলে। বিষয়টি নিয়ে তাদের সঙ্গে দুইবার বৈঠকে বসি। ওই বৈঠকে বেআইনিভাবে জমি দখল করবে না বলে আশ্বাস দেন। কিন্তু মঙ্গলবার প্রভাশালী ভূমিদস্যু রবিউল আলম ও আব্দু শুক্কুরের সহায়তায় জমির মালিক দাবিদার নুরুল আলম আমার পৈত্রিক জমিতে ইট-বালু ফেলে অবৈধভাবে দেয়াল নির্মাণ শুরু করে। এ সময় আমরা জমিতে গিয়ে তাদের বাধা দিলেও জমির মধ্যভাগে অবৈধভাবে দেয়াল নির্মাণের কাজ চালাতে থাকে। এ ব্যাপারে আইনি প্রতিকার পেতে থানায় লিখিত আবেদন করার কথাও জানান ভুক্তভোগী জমির মালিক অধ্যাপক মোহাম্মদ ইব্রাহিম।
তবে অভিযুক্ত নুরুল আলম ও রবিউল আলম বলেন, আমরা অধ্যাপক মোহাম্মদ ইব্রাহিমের জমিতে নয়, নিজেদের জমিতেই দেয়াল নির্মাণ করছি।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়া বলেন, জমি জবরদখলের ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।