ফল আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্কারোপ করায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ফল আমদানি বন্ধ রেখেছে ব্যবসায়ীরা।ফল আমদানিতে ধস নামতে শুরু করেছে ফলে ফলে বড় ধরনের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার । অতিরিক্ত শুল্ককর প্রত্যাহারা না করা পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে কোনো ধরনের ফল ভারত থেকে আমদানি করা হবে না বলে জানিয়েছেন বেনাপোল আমদানি ও রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মহসিন মিলন।
কাস্টমসের সূত্রে জানা গেছে, বেনাপোল বন্দর দিয়ে ফল আমদানি কমে অর্ধেকেরও নিচে নেমে এসেছে। প্রতিদিন এই বন্দর দিয়ে শুধুমাত্র ফল আমদানি থেকে প্রতিদিন ২৫ কোটি টাকার রাজস্ব আয় হতো। সেটি বর্তমানে এসে দাড়িয়েছে ৫ কোটিতে।
ফল আমদানি কারক লাইবা ওভারসিজ বলছেন, বেনাপোল বন্দর দিয়ে রাজস্ব আয়ের একটি বড় অংশ আসে ফল আমদানির খাত থেকে। আর মাত্র কয়েকদিন আছে পবিত্র রমজান। দেশে রমজান মাসে ফলের চাহিদা একটু বেশি। রমজানের আগে ফলের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক কর আরোপ করায় ব্যবসায়ীরা ফল আমদানি বন্ধের আল্টিমেটাম দিয়েছেন।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৭০ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের ফল আমদানি হতো। সেটি গতকাল পর্যন্ত ২০ থেকে ২২ ট্রাকে এসে দাড়িয়েছে। হঠাৎ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গত মাসের ১৩ জানুয়ারি আমদানি করা তাজা ফলের ওপর সম্প‚রক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করে সরকার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাজারে আমদানিকৃত ফলের সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাজারে দাম বেড়েছে সকল প্রকার ফলের। যা সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। উচ্চ শুল্কের কারণে ব্যবসায়ীরা আগের মতো ফল আমদানি করতে পারছে না। আসন্ন রমজানে ফল আমদানির ওপর অতিরিক্ত শুল্ককর প্রত্যাহারের জোর দাবি জানিয়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।
আমদানি ও রপ্তানিকারক সভাপতি মহসিন মিলন বলেন , ফল আমদানিতে সরকার হঠাৎ করে ১০% সম্প‚রক শুল্ক বৃদ্ধি করেছে। যার প্রভাব পড়েছে বেনাপোল সহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দরের উপরে। যার কারণে আমদানি একদম শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। এর ফলশ্রুতিতে ঢাকার বাদামতলীর ফল ব্যবসায়ী এ্যাসোসিয়েশন আজ ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ফল আমদানি অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ রেখেছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার মো: কামরুজ্জামান জানান, গত মাস থেকে ভারত হতে বেনাপোল বন্দরে বিভিন্ন ধরনের ফল আমদানি কমে গেছে। এর উপর সরকার আবার অতিরিক্ত শুল্কারোপ করায় আজ থেকে ফল আমদানি অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ রেখেছে ব্যবসায়ীরা বলে জানতে পেরেছি। ঢাকার ফল আমদানি কারকরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে অতিরিক্ত শুল্ককর প্রত্যাহারের জন্য চিঠি দিয়েছেন। চিঠির কোনো উত্তর আমরা পায়নি। এ সংক্রান্ত কোনো নির্দেশনা পেলে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।