রংপুরের পীরগঞ্জে নারীর মাথা বিহীন লাশ ও পরবর্তীতে কাটা মাথা পাওয়ার পর এবার তার পাঁচ বছর বয়সী শিশুকন্যা সাইমার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে বদনাপাড়ায় মাটির নীচ থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার চতরা ইউনিয়নের বড় বদনাপাড়া গ্রামের সীম ক্ষেত থেকে পুলিশ এক অজ্ঞাত মহিলার মাথা বিহীন লাশ উদ্ধার করে। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সিআইডি রংপুর ক্রাইমসিন ম্যানেজমেন্ট বিশেষজ্ঞ টিম নিশ্চিত হয় যে, ওই মহিলা নীলফামারী জেলার জলডাকা উপজেলার পশ্চিম গোলমুন্ডা ফকিরপাড়া গ্রামের মৃত রবিউল ইসলামের মেয়ে দেলোয়ারা বেগম (৩১)। পীরগঞ্জ থানা পুলিশ লাশ উদ্ধারের পর সেদিনই মাথাটি উদ্ধারের জন্য ব্যাপক প্রচেষ্টা চালালেও মস্তকটি উদ্ধার করতে পারেনি। পরে সিআইডি রংপুর ক্রাইমসিন ম্যানেজমেন্ট বিশেষজ্ঞ টিম ও পীরগঞ্জ থানা পুলিশের অনুসন্ধানের গত শনিবার সকালে পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চতরা ইউনিয়নের বড় বদনাপাড়া গ্রামের মুনছুর আলী (তারা মন্ডল) এর পুত্র আতিকুর (৪০) কে গ্রেফতার করে । গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে আতিকুর হত্যার দায় স্বীকার করলে শনিবার পুলিশ তাকে নিয়ে করতোয়া নদীর টোংরারদহ থেকে মস্তকটি উদ্ধার করে।
এদিকে গ্রেফতার আতিকুর পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন উক্ত মহিলার কন্যা সন্তান সাইমাকেও হত্যার দায় স্বীকার করলে পুলিশ শনিবার আতিকুরকে নিয়ে বদনাপাড়ায় গিয়ে তার বাড়ির পাশে মাটির নীচ থেকে সাইমার লাশ উদ্ধার করে। সাইমার লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে ।
অপরদিকে শিশু কন্যা সাইমার লাশ উদ্ধারের পর ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী ঘাতক আতিকুরের বাড়ি ঘর ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগ করেছে।
এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এমএ ফারুক গণমাধ্যম বলেন, এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে এবং আমরা হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে সঠিক তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ বিষয় জানানো হবে ।