ঢাকা রোববার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

চট্টগ্রামে কাটেনি সয়াবিন তেলের সংকট

চট্টগ্রামে কাটেনি সয়াবিন তেলের সংকট

ভোগ্যপণ্যের বাজারে কিছু জিনিসপত্রের দাম নাগালের মধ্যে আসলেও সয়াবিন তেলের দাম নাগালের মধ্যে আসেনি। এরমধ্যে সয়াবিন তেলের সরবরাহ সংকটে পড়েছে ভোগ্যপণ্যের বাজার। মূলত বিগত কয়েক মাস ধরে অনেকটা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে ভোজ্য তেলের বাজার।

পবিত্র রমজানেও ভোক্তাদের চরম ভোগান্তিতে ফেলেছে পণ্যটি। সরবরাহ সংকটে অধিকাংশ মুদি দোকানে মিলছে না বোতলজাত সয়াবিন। কোথাও কোথাও মিললেও ভোক্তাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি দাম। পণ্যটির দামের নাগাল টানতে রমজান ঘিরে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকারি তদারকি সংস্থাগুলো। তাতেও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি সরবরাহ, কমেনি দাম।

তবে তেল ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ আগের চেয়ে বেড়েছে, দামও কিছুটা কমেছে। নতুন তেল সব দোকানে পৌঁছালে দাম স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

ভোজ্য তেলের দামে নাগাল টানতে গেল সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দেশে ভোগ্যপণ্যের অন্যতম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন ও জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম। সেখানে ভোজ্যতেল না পেয়ে পরদিন ভোজ্যতেলের আমদানিকারক, উৎপাদনকারী ও আড়তদারদের সার্কিট হাউসে বৈঠকে ডাকেন তারা। ওই বৈঠকে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৬০ টাকা নির্ধারণ ও ব্যবসায়ীদের চূড়ান্তভাবে সতর্ক করা হয়। ওই বৈঠকের পর ভোজ্য তেলের সরবরাহ এবং দাম স্বাভাবিক না হলে গুদামে গুদামে অভিযান পরিচালনার কথা জানিয়েছিলেন জেলা প্রশাসক। এরমধ্যে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় টানা অভিযান পরিচালনা করছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের টাস্কফোর্স।

এত উদ্যোগের পরও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি তেলের বাজার। এখনও তেল কিনতে বাড়তি দামই গুনতে হচ্ছে ভোক্তাদের। নগরীর জামালখান এলাকার বাসিন্দা তৌসিফ ইসলাম জানান, আগে যেমন কয়েকটা দোকানে খুঁজতে হতো, এখন সেটা অনেকখানি কমেছে। তবে দাম বাড়তি রয়ে গেছে। আমি জামাল খান এলাকা থেকে ১৯৫ টাকায় এক লিটার তেল কিনেছি। কিন্তু পত্রিকায় দেখেছিলাম তেলের দাম ১৬০ টাকা ঠিক করা হয়েছে।

নগরীর পাহাড়তলী এলাকার বাসিন্দা আনিসুল হক জানান, আমি ১৮০ টাকায় এক লিটার তেল কিনেছি, তবে আগের মতো অন্যকিছু কিনতে হয়নি। দামটা এখনও বাড়তিই রয়ে গেল। তবে আগের চেয়ে তেলের সরবরাহ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন খাতুনগঞ্জের পাইকারি তেল ব্যবসায়ী সরোয়ার আলম জানান, এখন আগের চেয়ে সরবরাহ একটু বেড়েছে। দামও আগের চেয়ে ২০-৪০ টাকা কম। আশা করি দ্রুতই বাজার স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

চট্টগ্রাম,সয়াবিন তেল,সংকট
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত