কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদী থেকে পৃথক দুর্ঘটনায় নিহত দুই শিশু ও এক যুবকসহ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে পায়ে হেঁটে নদী পারাপার ও নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে তলিয়ে গিয়ে নিঁেখাজ হয়েছিলেন তারা। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল ও স্থানীয় লোকজন পুথকস্থান থেকে তাদের মরদেহ তিনটি উদ্ধার করেন। উদ্ধার হওয়া তিনজনের মধ্যে দুই শিশুর নাম পরিচয় জানা গেলেও আনুমানিক (৩২) বছর বয়সী ওই যুবকের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয় লোকজন জানায়, মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে মাতামুহুরী নদীর লক্ষ্যারচর-জালিয়াপাড়া ঘাট এলাকা পয়েন্টে পায়ে হেঁটে নদী পার হচ্ছিলেন এক যুবক। এ সময় নদীর মাঝখানে এসে পানিতে তলিয়ে গিয়ে নিখোঁজ হন তিনি। বিষয়টি মাতামুহুরী নদীর চরে কাজ করা কয়েকজন শ্রমিকের দৃষ্টিগোচর হলে তারা আরো স্থানীয় লোকজন জড়ো করে মাতামুহুরী নদীতে জাল ফেলে নিখোঁজ যুবককে উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। রাত ১১টা পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়েও নিখোঁজ যুবককে উদ্ধারে ব্যর্থ হয় তারা। পরে বুধবার সকালে চট্টগ্রাম থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এসে নিখোঁজস্থল থেকে ওই অজ্ঞাতনামা যুবকের মরদেহটি উদ্ধার করে।
অপরদিকে বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মাতামুহুরী নদীর কাকারা ইউনিয়নের দক্ষিণ কাকারা ফারুকিয়া মাদ্রাসা পয়েন্টে গোসলে নেমে পানিতে তলিয়ে গিয়ে নিখোঁজ হয় দুই শিশুর মো. মাসুম (৫) ও তার ফুফাতো বোন আসমা (৬)। পরে নিখোঁজস্থল থেকেই স্থানীয় লোকজন ওই দুই শিশুর ভাসমান মরদেহ দুইটি উদ্ধার করে। নিহত দুই শিশুর মধ্যে মো. মাসুম কাকারা ইউনিয়নের দক্ষিণ কাকারার বাসিন্দা মো. রাশেদের ছেলে এবং অপর শিশুকন্যা আসমা একই এলাকার প্রবাসী ছাবের আহামদের কন্যা। নিহত মো. মাসুম ও আসমা সম্পর্কে তারা মামাতো ফুফাতো ভাই বোন। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, মাতামুহুরী নদী থেকে উদ্ধার হওয়া আজ্ঞাতনামা যুবকের নাম পরিচয় সনাক্তের চেষ্টা চলছে। পরিচয় পাওয়া না গেলে কক্সবাজার আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে তার মরদেহটি দাফনের ব্যবস্থা করা হবে।