নগরীর যানজট নিরসনে হকারদের শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। সোমবার (২৮ এপ্রিল) নগরীর টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে হকার নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মেয়র বলেন, "আগ্রাবাদ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক এলাকা হওয়ায় সেখানে বিকেল ৫টার আগে হকাররা বসতে পারবেন না। নিউ মার্কেট এলাকায় দুপুর ৩টার পর থেকে বসা যাবে। নগরীর রাস্তায় যত্রতত্র চৌকি বসানো যাবে না। হকারদের ব্যবসার জন্য নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী চলতে হবে।"
তিনি জানান, হকারদের ব্যবসার জন্য নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে হকারদের তালিকা তৈরি করা হবে এবং ফ্লাইওভারের নিচে পে-মার্কেট মডেলে ব্যবসা পরিচালনার ব্যবস্থা করা হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, বিএনপির কেন্দ্রীয় শ্রমিক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, কাজী নুরুল্লা বাহার, শ ম জামাল উদ্দিন, তাহের আহমদ, মো. আনোয়ার, মো. দুলাল, মো. বাতেন, মো. জসিমসহ অন্য নেতৃবৃন্দ।
সভায় চট্টগ্রাম সম্মিলিত হকার্স ফেডারেশনের পক্ষে হকাররা পাঁচ দফা দাবি উপস্থাপন করেন:
১. জাতীয় শ্রমনীতির আলোকে চসিক কর্তৃক হকার পুনর্বাসন নীতিমালা প্রণয়ন এবং পুনর্বাসন না হওয়া পর্যন্ত ফুটপাতে শৃঙ্খলার সঙ্গে ব্যবসার সুযোগ। ২. সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের মাধ্যমে হকার তালিকা করে ই-ট্রেড লাইসেন্স প্রদান ও যৌক্তিক ফি নির্ধারণ। ৩. শ্রম অধিদপ্তরের নিবন্ধিত সংগঠনের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে সদস্য তালিকা প্রণয়ন। ৪. চসিক, শ্রম অধিদপ্তর ও শ্রমিক সংগঠনের সমন্বয়ে যৌথ কমিটি গঠন। ৫. সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি-ছিনতাই প্রতিরোধে শ্রমিক-হকার নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে আইনশৃঙ্খলা উন্নয়ন কমিটি গঠন।