ঢাকা রোববার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

স্বস্তি নেই বাজারে

* বেড়েছে সবজির দাম * ব্রয়লারের দামও ঊর্ধ্বমুখী
স্বস্তি নেই বাজারে

সব ধরনের সবজির দাম ক্রমাগত বাড়ছে। প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে দাম। বেশির ভাগ সবজির কেজি এখন ৬০ থেকে ৮০ টাকার ওপরে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে সবজির দামের এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজারে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায়, প্রতি কেজি চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, ধন্দুল প্রতি কেজি ৮০ টাকা, কচুর লতি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, ঢ্যাঁড়স প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পটোল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, কাঁকরোল প্রতি কেজি ১০০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, গাঁজর প্রতি কেজি ১৬০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৮০ টাকা এবং আলু প্রতি কেজি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজার করতে একজন বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, বাজারে সবজির দাম গেল কিছুদিন ধরে বেড়ে গেছে। আজও বাড়তি দামে সবজি কিনলাম। কম দাম থাকতে থাকতে হঠাৎ করে কেন সব ধরনের সবজির দাম এতটা বেড়ে গেল বুঝতে পারছি না। তবুও বাধ্য হয়ে ১ কেজি, আধা কেজি করে কিছু সবজি কিনলাম। কিছুদিন আগেও সবজির দাম কম ছিল; কিন্তু গত দুই সপ্তাহ ধরে বলতে গেলে সবজি দাম বাড়তি যাচ্ছে।

সবজির দাম বৃদ্ধির বিষয়ে একজন সবজি বিক্রেতা বলেন, বেশ কিছু সবজির মৌসুম এখন প্রায় শেষ। যেসব সবজির মৌসুম শেষ হয়েছে সেগুলোর দাম বেড়েছে। মৌসুম শেষ হওয়ায় বাজারে এসব সবজির সরবরাহ কিছুটা কম। ফলে সবজিগুলোর দাম বেড়েছে। নতুন মৌসুমের সবজি উঠার আগ পর্যন্ত কিছুটা বাড়তি থাকবে।

আরেকজন সবজি বিক্রেতা বলেন, সবধরনের সবজি আগের চেয়ে বাড়তি দামে আমাদের পাইকারি বাজার থেকে কিনে আনতে হচ্ছে। পাইকারি বাজারে এখন এসব সবজির সরবরাহ কম এ কারণেই বাজারের দাম বেড়েছে। সবজির দাম বাড়ার পাশাপাশি আমাদের বিক্রির পরিমাণও কমে গেছে। আগে যেই ক্রেতা ১ কেজি সবজি কিনতো, এখন সেই ক্রেতাই আধা কেজি সবজি কিনে ফলে আমাদের বিক্রির পরিমাণ কমেছে। আগে যেখানে এক আইটেম সবজি ১০ কেজি ২০ কেজি করে আনতাম, দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এখন সেই সবজিই আমরা পাঁচ কেজি ৭ কেজি করে আনছি। তবে নতুন করে সবজি উঠতে শুরু করলে সবজির দাম কমে আসবে।

এদিকে, সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি চলতি সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। শুক্রবার (৪ জুলাই) সরেজমিন রামপুরা এলাকা ও এর আশপাশের বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়লেও অন্যান্য মাংসের দাম তুলনামূলক স্বস্তির দিকেই। সোনালি মুরগি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ২২৫ থেকে ২৩০ টাকা। লেয়ার মুরগি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা। অন্যদিকে গত সপ্তাহের মতোই আছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ টাকায়। খাসির মাংসের কেজি ১১০০ থেকে ১২০০ টাকায়। মাংসের দাম বেড়ে যাওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করছেন ক্রেতারা। একজন ক্রেতা বলেন, মাংসের মধ্যে ব্রয়লার মুরগিই বেশি খাওয়া হয়। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে আমাদের। ব্রয়লার মুরগির দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে আমাদের মতো গরিব মানুষরা সমস্যায় পড়ে যাচ্ছে। আরেক ক্রেতা বলেন, অন্যান্য মাংসের দাম তো সবসময়ই বেশি থাকে। তার থেকে ব্রয়লারের দাম কম হওয়ায় সেটাই খাওয়া হয়। অথচ সেটার দামও এখন বাড়তি। একজন মুরগি বিক্রেতা বলেন, ঈদের পর ব্রয়লারের চাহিদা কিছুটা কম ছিল। এখন আবার চাহিদা বেড়েছে। তাই দামও কিছুটা বেড়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত